কলোরেক্টাল ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য ভারতের সেরা চিকিৎসকগণ
কলোরেক্টাল ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য ভারতের সেরা হাসপাতালগুলো
কোলোরেক্টাল ক্যান্সার কি?
কোলোরেক্টাল ক্যান্সার হল মলাশয় এবং মলদ্বারের ক্যান্সার।
কোলোরেক্টাল ক্যান্সার তখন উৎপন্ন হয় যখন মলাশয় এবং মলদ্বারের আস্তরণ যুক্ত কোষ গুলি নিয়ন্ত্রণের বাইরে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। এই কোষগুলি টিউমার তৈরি করে, যা ক্যানসার(মেটাস্ট্যাটিক টিউমার) নামে পরিচিত।
কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের উপসর্গ গুলি কি হয়ে থাকে?
প্রাথমিক পর্যায়ে কোলোরেকটাল ক্যানসার সাধারণত কোন ধরনের উপসর্গ গুলি দেখায় না।
কলোরেক্টাল ক্যান্সার এর সাধারণ উপসর্গ গুলি হল:
- কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা ডায়রিয়া
- মলদ্বারে রক্ত ক্ষরণ অথবা ক্রাম্পিং বা খিল ধরা
- মলের মধ্যে অথবা উপরে রক্তের ঘন কালো দাগ
- পেটের মধ্যে অস্বস্তি অথবা ফুলে যাওয়া
- ক্লান্তি এবং খিদে না হওয়া
- পেলভিক (শ্রোণী) অঞ্চলে যন্ত্রণা
কলোরেক্টাল ক্যান্সার এর ঝুঁকিগুলি এবং কারণসমূহ
- বয়স : বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোলোরেকটাল ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
- লিঙ্গ : পুরুষদের মধ্যে কলোরেক্টাল ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অত্যাধিক থাকে।
- পলিপস : কি ধরনের বৃদ্ধিগুলিমলাশয় বা মলদ্বারের ভেতরে প্রাচীরের উপর উপস্থিত থাকে যা ক্যানসার পূর্ববর্তী লক্ষণ হয়। অ্যাডেনোমা হলো এক ধরনের পলিপ, যা সাধারনত কোলোরেক্টাল ক্যান্সার এর কারন হয়।
- ব্যক্তিগত ইতিহাস : যদি একজন রোগীর আগের থেকেই কোলোরেক্টাল ক্যানসার থাকে, তাহলে ৬০ বছরের পূর্বে পুনরায় রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- পরিবার : কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের যদি কোন পারিবারিক ইতিহাস থেকে থাকে।
- খাদ্যবিধি বা ডায়েট : নির্দিষ্ট ধরনের ডায়েটে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট ও কোলেস্টেরল এবং অল্প পরিমাণ ফাইবার থাকে ফলে কোলোরেক্টাল ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- জীবনশৈলী : ধূমপান করা, অ্যালকোহল গ্রহণ এবং অতিরিক্ত ওজন কোলোরেক্টাল ক্যানসার ঘটাতে পারে।
- ডায়াবেটিস : ডায়াবেটিস যুক্ত ব্যক্তিদেরকলোরেক্টাল ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অধিক থাকে।
কলোরেক্টাল ক্যান্সার এর ডায়াগনোসিস বা রোগ নির্ণয়
- কমপ্লিট ব্লাড টেস্ট (সিবিসি / CBC) : এই ধরনের পরীক্ষা রক্তের মধ্যে থাকা বিভিন্ন প্রকারের কোষগুলিকে পরিমাপ করতে সাহায্য করে।
- লিভার ইঞ্জাইম (উৎসেচক গুলি) : লিভার এর কার্যকারিতা কেমন রয়েছে তা পরীক্ষা করার জন্য এই রক্ত পরীক্ষা করা হয়ে থাকে।
- টিউমার মার্কারস : টিউমারের চিহ্নগুলি উপস্থিত রয়েছে কিনা, কোলোরেক্টাল ক্যান্সার কোষ দ্বারা তৈরি পদার্থের উপস্থিতি আছে কিনা তা যাচাই করার জন্য রক্ত পরীক্ষা করা হয়।
- এমএসআই (MSI) এবং এমএমআর (MMR) পরীক্ষা : এই পরীক্ষা তখন করা হয় যখন ক্যান্সার কোষ গুলি অতি উচ্চ পর্যায়ের জিনের পরিবর্তন ঘটানো লক্ষ্য করায়, যা মাইক্রো স্যাটেলাইট ইনস্টাবিলিটি (এমএসআই) এবং ক্যান্সার কোষ গুলি কোন মিসম্যাচ রিপেয়ার বা অমিল মেরামত (এমএমআর) পরিবর্তিত হয়েছে কিনা তা যাচাই করার জন্যই পরীক্ষা করা হয়।
- সিটি স্ক্যান
- পেটের আল্ট্রাসাউন্ড
- এন্ড্রোরেক্টাল এমআরআই
- পিইটি (PET) সিটি স্ক্যান
- ডায়াগনোস্টিক কোলোনোস্কোপি : কোলোনোস্কোপির দ্বারা সম্পূর্ণ মলাশয় এবং মলদ্বারের পরীক্ষা করা হয়, একটি পাতলা, অনমনীয়, হালকা টিউব সবার শেষে একটি ক্ষুদ্র ভিডিও ক্যামেরার সঙ্গে পায়ুছিদ্রের মাধ্যমে প্রবেশ করানো হয়।
- বায়োপসি : একটি টিস্যু বা তন্তুর ক্ষুদ্র অংশ সাধারণত মলাশয় থেকে সরিয়ে ফেলা হয় এবং কলোরেক্টাল ক্যান্সার পরীক্ষা করার জন্য পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়।
কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের চিকিৎসা
নিম্নলিখিত কলোরেক্টাল ক্যান্সার এর সাধারণ চিকিৎসার বিকল্প গুলি
সার্জারি বা অস্ত্রোপচার
কেমোথেরাপি
কেমোথেরাপি হলো ক্যান্সার বিরুদ্ধ ড্রাগ বা ওষুধের ব্যবহার,যার মাধ্যমে খুবই দ্রুত বিভাজিত হওয়া কোষগুলি যা ক্যান্সারের কারণ হয় তার বৃদ্ধি কে ধীর গতিতে অথবা বন্ধ করতে সাহায্য করে।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকা সত্ত্বেও, কেমোথেরাপি ক্যান্সার চিকিৎসার বিকল্প হিসেবে এখনো সর্বাধিক রূপে ব্যবহার করা হয়। রেডিয়েশন (তেজস্ক্রিয়) এবং সার্জারি থেকে ভিন্ন যা কেবল নির্দিষ্ট অবস্থানে থাকা ক্যান্সার কোষ গুলি গিরি চিকিৎসা করে সেখানে কেমোথেরাপির ড্রাগস বা ওষুধগুলি শরীরের ভিন্ন ভিন্ন অংশে মেটাস্টেটেড(ছড়িয়ে পড়া) ক্যান্সার কোষগুলিকে মেরে ফেলতে পারে।
রেডিয়েশন থেরাপি
টার্গেটেড(নির্দিষ্ট) ড্রাগ থেরাপি
টার্গেটের থেরাপি হলো এক ধরনের ক্যান্সার চিকিৎসা যা ড্রাগ বা ক্যান্সারের ওষুধ গুলির ব্যবহার করে। যাই হোক এটি প্রচলিত কেমোথেরাপি থেকে ভিন্ন হয়, চা ড্রাগ বা ওষুধগুলি ব্যবহার করে ক্যান্সার কোষগুলিকে মেরে ফেলে।
টার্গেটেড থেরাপির মাধ্যমে, ক্যান্সারের নির্দিষ্ট জিনগুলি, প্রোটিন গুলি, টিস্যু বা তন্তু গুলির বহিরঅংশ যাও ক্যান্সারের বৃদ্ধি এবং বেঁচে থাকতে সাহায্য করে তাকে টার্গেট বা মূল লক্ষ্য করা হয়। টার্গেটেড থেরাপি সাধারণত কেমোথেরাপি এবং অন্যান্য প্রক্রিয়াগুলির সঙ্গে করা হয়ে থাকে।