ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য ভারতের সেরা চিকিৎসকগণ
ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য ভারতের সেরা হাসপাতালগুলো
- শহর: New Delhi, India
- স্বীকৃতি: NABH
হাসপাতালের কথা
- প্রকৃত চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য ভেঙ্কটেশ্বর হাসপাতালে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং নিবেদিত স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের এক ছাদের নিচে একত্রিত করা হয়েছে। হাসপাতালের পেশাদাররা সবচেয়ে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের রোগীদের সম্ভাব্য সর্বোত্তম চিকিৎসা প্রদানের জন্য একটি দল হিসাবে একসাথে কাজ করে।
- ভেঙ্কটেশ্বর হাসপাতালের লক্ষ্য হল অত্যন্ত দক্ষ বিশেষজ্ঞদের একটি দল দ্বারা প্রমাণ-ভিত্তিক, নৈতিক ক্লিনিকাল অনুশীলন এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বাস্থ্যসেবায় বিশ্বব্যাপী শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা।
- শহর: Gurugram, India
হাসপাতালের কথা
- গুরুগ্রামের ডিএলএফ সাইবার সিটির কাছে অবস্থিত, নারায়না সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল দিল্লি এনসিআর অঞ্চলের অন্যতম শীর্ষ চিকিৎসা সুবিধা, যা মানুষের চাহিদা পূরণ করে। মানসম্পন্ন চিকিৎসা সেবা এবং রোগীর সেবার প্রতি দায়বদ্ধতার জন্য পরিচিত, হাসপাতালটি পরিকল্পিত এবং সুসজ্জিত বিভাগ সহ একটি অত্যাধুনিক সুবিধা, যার মধ্যে একটি প্রশস্ত OPD এলাকা এবং রোগীদের আরামদায়ক কক্ষ রয়েছে।
- এটি ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গুরুগ্রামের দিকে ক্লোসেট সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল এবং ডিএলএফ সাইবার সিটির নিকটতম সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল। এটি গুরুগ্রামের প্রধান আবাসিক এলাকার কাছাকাছিও।
- এটি বিখ্যাত নারায়ণ স্বাস্থ্য গ্রুপের অংশ। 2000 সালে, বিখ্যাত কার্ডিয়াক সার্জন ডাঃ দেবী শেট্টি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, এটি ভারতের নেতৃস্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা গোষ্ঠীগুলির জন্য একটি হয়ে উঠেছে। ভারতের বেঙ্গালুরুতে সদর দপ্তর অবস্থিত, নারায়না হেলথ এখন মোট 21টি হাসপাতাল নিয়ে গঠিত এবং উত্তর, পশ্চিম ও মধ্য ভারতের অন্যতম প্রধান স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
- শহর: Noida, India
- বিশেষ: Multispecialty Hospital
- স্বীকৃতি: NABH
হাসপাতালের কথা
- Fortis Hospital, Noida, stands as one of the oldest and most trusted healthcare institutions in the region, setting a benchmark for comprehensive medical care.
- As the second mega hub hospital in the Fortis Healthcare Group, Fortis Hospital, Noida, upholds a legacy of trust among more than 1.2 million patients. By integrating top-tier professionals with cutting-edge technology, the hospital delivers superior treatment across various medical disciplines.
- Specializing in advanced Neurosciences, Orthopedics, Kidney and Liver Transplant Programmes, Fortis Hospital, Noida has successfully performed over 1,500 transplants, solidifying its reputation as a leader in specialized medical interventions.
ক্যান্সার
আমাদের শরীর হলো অসংখ্য দেহকোষের সমষ্টি। দেহের স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী এই কোষগুলি সৃষ্টি হয়, বৃদ্ধি পায় এবং পরিণত অবস্থা প্রাপ্ত হলে যথানিয়মে ধ্বংস হয়ে যায়। নতুন কোষ এই ধ্বংস হয়ে যাওয়া কোষগুলিকে পুনরায় প্রতিস্থাপিত করে। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের শরীরে কিছু জিনগত পরিবর্তন দেখা দেয়, যার ফলে দেহের এই সুনির্দিষ্ট নিয়ম ব্যাহত হয়। এই অবস্থায় পরিণত কোষগুলি ধ্বংস না হয়ে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে দ্রুত হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এর ফলে শরীরে অসংখ্য অস্বাভাবিক কোষের সৃষ্টি হয়। এই অবস্থাকে সাধারণ ভাবে ক্যান্সার বলা হয়।
এই অতিরিক্ত অস্বাভাবিক কোষগুলি একত্রিত হয়ে এক ধরণের পিন্ড তৈরি করে, যা সাধারণ ভাবে টিউমার নামে পরিচিত। এই টিউমার থেকেই সাধারণতঃ শরীরে ক্যান্সারের সূত্রপাত হয়। অনিয়ন্ত্রিত গঠিত এইসব কোষগুলির সমাহার বা টিউমার ম্যালিগন্যান্ট অর্থাৎ ক্যান্সার যুক্ত এবং বিনাইন অর্থাৎ ক্যান্সার বিহীন—এই দুই প্রকার হতে পারে। তবে কিছু কিছু ক্যান্সার, যেমন লিউকিমিয়া বা ব্লাড ক্যান্সারের ক্ষেত্রে এই ধরণের টিউমার বা অস্বাভাবিক কোষপিন্ড তৈরি হয়না।
ক্যান্সার শব্দটির আক্ষরিক অর্থ ব্যাপক। এর দ্বারা প্রকৃতপক্ষে প্রায় ১০০ রকম রোগ বোঝানো হয়। এই রোগগুলি শরীরের যে কোনো অংশেই আক্রমণ করতে পারে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা বিপজ্জনক, এমনকি প্রাণঘাতী পর্যন্ত্য হতে পারে।
আপাতদৃষ্টিতে বিপজ্জনক মনে হলেও, বর্তমানে ক্যান্সারের বিভিন্ন রকম উন্নত ও অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি প্ৰচলিত রয়েছে। তবে কোন রোগীর ক্ষেত্রে কী ধরণের চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে, সেই সিদ্ধান্ত সাধারণতঃ ক্যান্সারের অবস্থান, প্রকৃতি বা কোন ধরণের ক্যান্সার, এবং ক্যান্সারের বর্তমান অবস্থা অর্থাৎ ক্যান্সার কোন স্টেজে রয়েছে তার ওপর নির্ভর করে। শরীরে ক্যান্সার কতখানি ছড়িয়ে পড়েছে তার ওপর ক্যান্সারের চিকিৎসা পদ্ধতি নিরূপণ অনেকাংশে নির্ভর করে। সাধারনতঃ বেশিরভাগ ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্যই চিকিৎসকেরা সার্জারি বা অপারেশনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ক্যান্সার যদি প্রাথমিক অবস্থায় থাকে, অর্থাৎ বেশি দূর ছড়িয়ে না পড়ে থাকে, তবে সার্জারি সাধারনতঃ বিশেষ ভাবে কার্যকরী হয়। সার্জারি ছাড়াও কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন থেরাপি ইত্যাদিও ক্যান্সারের ক্ষেত্রে কার্যকরী হয়। বর্তমানে অনেক ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অর্থাৎ অঙ্কোলজিস্টরা নানা রকম অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি, যেমন হরমোন থেরাপি, ইমিউনোথেরাপি, টার্গেটেড ড্রাগ থেরাপি ইত্যাদির সুপারিশ করে থাকেন। এছাড়াও বোন ম্যারো বা অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনকে কিছু কিছু ক্যান্সারের চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকরী পদ্ধতি হিসেবে গণ্য করা হয়।
ক্যান্সার কেন হয়?
জৈবিক বা আভ্যন্তরীণ কারণ
বয়স: যদিও যেকোনো বয়সেই ক্যান্সার হতে পারে, তাও সাধারণ ভাবে বয়সকে ক্যান্সারের একটি প্রাথমিক শর্ত বলে মনে করা হয়। এর কারণ হল বেশির ভাগ ক্যান্সারের ঘটনাই বয়স বাড়ার সাথে সাথে দেখা যায়। ১০ জনের মধ্যে ৯ জন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরই বয়স ৫০ বা তার উর্দ্ধে।
লিঙ্গ: সাধারনতঃ নারীদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে ক্যান্সারের প্রবণতা বেশি দেখা যায়।
জিনগত ত্রুটি: লি-ফ্রাউমেনি সিনড্রোম থেকে হাড়ের ক্যান্সার, ব্রেস্ট বা স্তন ক্যান্সার, সফ্ট টিস্যু সারকোমা, মস্তিষ্কের ক্যান্সার, ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। অন্যদিকে ডাউন সিনড্রোম নামক জিনগত অসুখ থেকেও নানারকম ক্যান্সার, যেমন লিউকিমিয়া বা ব্লাড ক্যান্সার এবং টেষ্টিকুলার ক্যান্সার হতে পারে।
পরিবেশগত কারণ এবং ক্ষতিকর রাসায়নিক বিকিরণের সংস্পর্শে আসা
- ইউ ভি রশ্মির বিকিরণ: সূর্য থেকে আসা ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি বা ইউ ভি রশ্মির সংস্পর্শে দীর্ঘকাল থাকলে মেলানোমা ও অন্যান্য নানা ধরণের ত্বকের ক্যান্সার হতে পারে।
- রেডিয়েশন থেরাপি: ক্যানসারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত রেডিয়েশন থেরাপির সংস্পর্শে আসার ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে অন্য ধরণের ক্যান্সার হতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়- ধরা যাক কোনো ব্যক্তির লিম্ফোমা নামক ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য দীর্ঘদিন ধরে বুকে রেডিয়েশন থেরাপি দেওয়া হচ্ছে। এর থেকে পরবর্তীতে ওই ব্যক্তির ব্রেস্ট ক্যান্সার বা স্তনগ্রন্থির ক্যান্সার হতে পারে।
পেশাগত পরিবেশের কারণে সৃষ্ট ক্যান্সার
- পেশার সূত্রে নানা ধরণের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে দীর্ঘদিন থাকলে দেহের সাধারণ ডি এন এ-র গঠনে পরিবর্তন দেখা দিতে পারে, যার থেকে ক্যানসার হবার সম্ভাবনা থাকে।
- কিছু ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ যেমন রেডিয়াম, অ্যাসবেস্টসের গুঁড়ো, টার বা আলকাতরা ইত্যাদির সংস্পর্শে থাকাও ক্যান্সারের একটি উল্লেখযোগ্য কারণ।
জীবনযাপনের তারতম্যের ফলে সৃষ্ট ক্যান্সার
- অতিরিক্ত ধূমপান থেকে নানা ধরণের ক্যান্সার হয়, যেমন ফুসফুস, ল্যারিংক্স বা স্বরযন্ত্র, মাথা, গলা ও ঘাড়, পাকস্থলী, ব্লাডার বা মূত্রথলি, কিডনি, অগ্ন্যাশয় এবং ইসোফগাস বা খাদ্যনালীর ক্যান্সার ইত্যাদি।
- অত্যধিক মদ্যপানও ক্যান্সারের একটি অন্যতম কারণ।
- কিছু কিছু খাবার থেকেও ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা থাকে। যেমন বারবিকিউ বা ঝলসানো মাংসে প্রচুর পরিমাণ ক্ষতিকর নাইট্রাইট ও পলি অ্যারোম্যাটিক পদার্থ উপস্থিত থাকে, যা থেকে ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের ফলে সৃষ্ট ক্যান্সার
- হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (HPV)-এর থেকে সারভাইকাল ক্যানসার হতে পারে
- এপস্টাইন- বার ভাইরাস (EPV) থেকে বার্কিট লিম্ফোমা নামক ক্যান্সার হয়।
- এইচ পাইলোরি (H. Pylori) ভাইরাসের জন্য পাকস্থলীতে ক্যান্সার হতে পারে
- হেপাটাইটিস ভাইরাস থেকে লিভার ক্যান্সার হতে পারে
হরমোনের পরিবর্তন ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ফলে উদ্ভূত ক্যান্সার
- স্ত্রীদেহে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রার তারতম্যের ফলে ইউটেরাসের ক্যান্সার হতে পারে
- দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি এবং এইচ আই ভি সংক্রমণ থেকে কাপোসি সারকোমা, নন-হজকিন্স লিম্ফোমা ইত্যাদি ক্যান্সার হতে পারে।