মেনিস্কাস টিয়ার মেরামত

মেনিস্কাস টিয়ার বা মেনিস্কাস টিস্যুর ক্ষত কাকে বলে?

হাঁটুর তরুণাস্থিতে কোনো ক্ষত হলে বা টিস্যু ছিঁড়ে গেলে তাকে টর্ন মেনিস্কাস বলা হয়। এই ক্ষত সাধারণতঃ দুটি তরুণাস্থির সংযোগস্থলে দেখা দেয়। মেনিস্কাস টিস্যুর ক্ষত নিরাময় হতে শরীরের ওই অংশে প্রচুর পরিমাণ রক্তসঞ্চালন প্রয়োজন হয়। সুতরাং টর্ন মেনিস্কাস রোগের চিকিৎসার প্রাথমিক লক্ষ্য হল শরীরে সঠিক মাত্রায় রক্তসঞ্চালন বজায় রেখে সুস্থ স্বাভাবিক মেনিস্কাস টিস্যুগুলিকে সংরক্ষণ করা এবং নতুন টিস্যু তৈরী হতে সহায়তা করা।

মেনিস্কাস টিস্যু রিপেয়ার বা মেরামত করা

হাঁটুর তরুণাস্থিতে সৃষ্টি হওয়া ক্ষত সারিয়ে তোলার জন্য চিকিৎসকেরা মেনিস্কাস টিস্যু রিপেয়ার নামক চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করবার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আমাদের শরীরে জানুসন্ধি বা হাঁটুতে সাধারণতঃ দুটি সি-সেকশন কার্টিলেজ বা তরুণাস্থি থাকে। একটি অস্থি উরু থেকে হাঁটু পর্য্যন্ত বিস্তৃত এবং আরেকটি গোড়ালির ওপরের অংশ থেকে হাঁটু অব্দি বিস্তৃত। এই দুইটি তরুণাস্থি হাঁটু বা জানুসন্ধিতে এসে মিলিত হয়। এই তরুণাস্থি জানুসন্ধিতে প্রয়োজনীয় নমনীয়তা প্রদান করে, যার ফলে আমরা স্বাভাবিক নড়াচড়া, হাঁটাচলা, দৌড়নো ইত্যাদি কাজ করতে পারি।

কী কী কারণে মেনিস্কাস টিস্যু ছিঁড়ে যায়?

মেনিস্কাস টিয়ারের সর্বাপেক্ষা সাধারণ কারন হল হাঁটুতে আচমকা কোনো আঘাত বা চোট লাগা। এইধরনের আঘাতের ফলে মাংসপেশী ও তরুণাস্থিতে ঘর্ষণ হয়, এবং তার ফলে তরুণাস্থি ছিঁড়ে যেতে পারে। খেলোয়াড়দের মধ্যে মেনিস্কাস টিয়ারের প্রবণতা প্রবল ভাবে দেখা যায়। তাছাড়াও বয়সের সাথে সাথে মানবদেহের তরুণাস্থি দুর্বল হতে শুরু করে, যার ফলে বয়স্কদের মধ্যে এই রোগের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।

মেনিস্কাস টিয়ারের লক্ষণ বা উপসর্গ

মেনিস্কাস টিয়ারের উপসর্গগুলি সাধারণতঃ অত্যন্ত নগণ্য হয়, যার ফলে অনেকক্ষেত্রেই প্রাথমিক অবস্থায় এর লক্ষনগুলি ধরা যায় না। যদি আপনি মেনিস্কাস টিয়ারের শিকার হন, তবে সাধারণতঃ যেসব উপসর্গগুলি দেখা দেবে সেগুলি হল:

  • হাঁটুতে প্রবল যন্ত্রণা হওয়া
  • সাধারণ নড়াচড়া বা চলাফেরায় অসুবিধা
  • হাঁটুতে জল বা পুঁজ জমে ফুলে যাওয়া
  • হাঁটুর সন্ধি অনমনীয় হয়ে যাওয়া এবং নড়াচড়ায় অসুবিধা হওয়া
  • হাঁটু এবং তৎসংলগ্ন অংশ অধিকমাত্রায় সংবেদনশীল হয়ে ওঠা

ডায়াগনস্টিক বা রোগ নিরূপনের জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা

মেনিস্কাস টিয়ারের প্রাথমিক রোগ নিরূপণের জন্য শারীরিক পরীক্ষা অবশ্যপ্রয়োজনীয়। এর জন্য চিকিৎসক প্রথমেই আপনার পূর্বতন রোগব্যাধির ইতিহাস সম্পর্কে, বিশেষতঃ কোনো চোট আঘাত পেয়েছিলেন কিনা তা জানতে চাইবেন। মেনিস্কাস টিয়ারের সঠিক অবস্থান ও পরিস্থিতি জানার জন্যে শারীরিক পরীক্ষা ছাড়াও চিকিৎসক আপনাকে কিছু ইমেজিং পরীক্ষা, যেমন এক্সরে বা এম আর আই (MRI) করাতে বলতে পারেন। এই ইমেজিংয়ের মাধ্যমে টিস্যুর ছেঁড়া পরীক্ষা করা ছাড়াও ক্ষতস্থান ও তার আশেপাশের অন্য কোনো স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা, তাও বোঝা যায়।

চিকিৎসা পদ্ধতি

  • মেনিস্কাস টিয়ার মেরামত করার সর্বাধিক প্রচলিত পদ্ধতিগুলি হল মেনিস্কাস টিস্যু অপসারণ, মেরামত বা প্রতিস্থাপন। ক্ষতের বর্তমান অবস্থা, জটিলতা এবং রোগীর বয়স, ওজন ও অন্যান্য ওষুধের প্রতিক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে এই চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়।

 

  • যদি ক্ষত গুরুতর না হয় এবং সহজেই মেরামতের যোগ্য হয়, তাহলে আপনার অর্থোপেডিক অর্থাৎ অস্থি বিশেষজ্ঞ সম্পূর্ণ বা আংশিক আর্থ্রোস্কোপিক মেনিস্কেক্টমি নামক অপারেশন করার পরামর্শ দিতে পারেন। এই অপারেশনের মাধ্যমে ছিঁড়ে যাওয়া টিস্যু অপসারণ করা যায় বা সেলাইয়ের মাধ্যমেও মেরামত করে দেওয়া হয়।

 

  • যদি ক্ষতের পরিমাণ ন্যূনতম হয়, সেক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা অপারেশনের পরিবর্তে কিছু সাধারণ ব্যবস্থা , যেমন ফিজিওথেরাপি, শরীরচর্চা বা RICE (রেস্ট বা বিশ্রাম, ice বা বরফ দেওয়া, কম্প্রেশন বা চাপ প্রয়োগ করা এবং এলিভেশন অর্থাৎ পা উঁচুতে তুলে রাখা)-পদ্ধতি অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

 

  • যদি মেনিস্কাস তরুণাস্থির আঘাত গুরুতর হয়, তবে সেক্ষেত্রে আপনার চিকিৎসক আপনাকে অপারেশন করার পরামর্শই দেবেন। এই অপারেশনের মূল লক্ষ্য হল টিস্যুর ক্ষত নিরাময় করা ও রোধ করা।

মেনিস্কাস টিস্যু মেরামতির পদ্ধতি

প্রস্তুতি

এই অপারেশনের জন্য প্রথমেই আপনাকে আপনার সমস্ত শারীরিক সমস্যার ইতিহাস আপনার চিকিৎসকদের খোলাখুলি জানাতে হবে। সমস্ত রকম পূর্বতন রোগ, বর্তমান রোগ এবং তার জন্য আপনি যে ওষুধপত্র ও চিকিৎসা গ্রহণ করছেন, সে সমস্তই চিকিৎসককে জানাতে হবে। আপনি যদি বর্তমানে কোনো NSAID বা অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ, ভিটামিন, Over the counter (OTC) ড্রাগ অর্থাৎ কোন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে থেকে কেনা ওষুধ, এমনকি হোমিওপ্যাথি বা আয়ুর্বেদিক কোনো ওষুধও খান, তা সবকিছু আপনার সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে জানাতে হবে। অপারেশনের আগে এক সপ্তাহ থেকে ৫দিনের মধ্যে রোগীকে দাঁতের চিকিৎসকও দেখিয়ে নিতে হবে, কেননা অপারেশনের সময় রোগীর রক্তে ব্যাকটেরিয়া মিশে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও চিকিৎসকেরা অপারেশনের ৩-৪দিন আগে থেকে ধূমপান ও অন্যান্য তামাকজাতীয় বস্তু সেবন করা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকতে বলেন। এর অতিরিক্ত রোগীকে অবশ্যই খাওয়া-দাওয়া সংক্রান্ত সমস্ত রকম নিষেধাজ্ঞা অপারেশনের পূর্বেই সংশ্লিষ্ট সেবাদানকারী ব্যক্তিকে জানিয়ে রাখতে হবে।

পদ্ধতির ব্যাখ্যাসহ ভিডিও

অপারেশনের পদ্ধতি

মেনিস্কাস টিয়ার মেরামতির জন্য প্রয়োজনীয় অপারেশনের প্রকৃতি নির্ভর করে আঘাতের ভয়াবহতা ও তার দৈর্ঘ্যের ওপর। সাধারণতঃ, মেনিস্কাস টিয়ারের মেরামতির জন্য হাঁটুর আর্থ্রোস্কোপি হল সর্বাধিক প্রচলিত ও নির্ভরযোগ্য অপারেশন। এই পদ্ধতিতে হাঁটুর ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সার্জেন একটি ছোট জায়গা কাটেন। এবং সেই কাটা অংশের মধ্য দিয়ে একটি ছোট ক্যামেরা লাগানো যন্ত্র প্রবেশ করানো হয়। এই ক্যামেরার মাধ্যমে সার্জেন অস্থির ভিতরের সমস্ত চোট ও অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত অংশ পরিষ্কারভাবে দেখতে পান এবং শল্যচিকিৎসার জন্য ন্যূনতম ও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে অপারেশন করতে পারেন। এই অপরেশনের সময় রোগীকে যন্ত্রনামুক্ত রাখার জন্য সাধারণতঃ অ্যানেস্থেসিয়ার মাধম্যে আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে অচেতন করে রাখা হয়। এই প্রক্রিয়া বা অপারেশনটি সম্পূর্ণ হতে সর্বাধিক এক থেকে দেড় ঘন্টা সময় লাগে।

সার্জারির প্রকারভেদ

রোগীর অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসক তিনধরণের সার্জারির মধ্যে সর্বাধিক উপযুক্ত পদ্ধতির প্রস্তাব দেবেন। এই তিন ধরণের অপারেশনগুলি হল:

  • আর্থ্রোস্কোপিক রিপেয়ার সার্জারি: এই পদ্ধতিতে চিকিৎসক শরীরে একটি ছোট ক্যামেরাবিশিষ্ট যন্ত্র প্রবেশ করিয়ে মেনিস্কাস টিস্যুর ছেঁড়া অংশটি অপসারণ করেন বা সেলাই করে মেরামত করেন।

 

  • আর্থ্রোস্কোপিক পার্শিয়াল মেনিস্কেক্টমি: এই পদ্ধতিতে চিকিৎসক শুধুমাত্র তরুণাস্থির ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি বাদ দিয়ে দেন। এর ফলে হাঁটুর তরুণাস্থিগুলি তাদের স্বাভাবিক নড়াচড়ার ক্ষমতা ফিরে পায়।

 

  • আর্থ্রোস্কোপিক টোটাল মেনিস্কেক্টমি: এই পদ্ধতিতে সার্জেন সম্পূর্ণ মেনিস্কাস টিস্যুটি কেটে বাদ দিয়ে দেন এবং সুস্থ তরুণাস্থি কোষ প্রতিস্থাপন করেন।

মেনিস্কাস টিস্যু রিপেয়ার পদ্ধতির সাথে যুক্ত ঝুঁকি

মেনিস্কাস টিস্যু রিপেয়ার সাধারণতঃ একটি সহজ ও নির্ঝঞ্ঝাট প্রক্রিয়া। তবুও কিছু কিছু ক্ষেত্রে অপারেশনের পর ১ থেকে ১.৩% ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ছিঁড়ে যাওয়া টিস্যুর আশপাশের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, তরুণাস্থির সন্ধিতে সংক্রমণ, রক্তনালীতে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া, হাঁটু শক্ত বা অনমনীয় হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। যদি অপারেশনের পর কোনো জটিলতা বা অসুবিধা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে চিকিৎসক অতিরিক্ত কিছু ব্যবস্থার নির্দেশ দেবেন।

অপারেশনের পর বাড়ীতে রোগীর দেখাশোনা

অপারেশনের পর প্রথম কিছুদিন রোগীকে একটি ব্রেস অর্থাৎ বন্ধনী পরে থাকতে হবে। এই ব্রেস বা কাস্টটি হাঁটুকে নিজের জায়গায় স্থিতিশীল হতে সাহায্য করে। এছাড়াও ক্রাচ ব্যবহার করলে হাঁটাচলায় সুবিধা হয়। অপারেশনের পর যতদিন না চিকিৎসক অনুমতি দেবেন, ততদিন চলাফেরা বা অন্যান্য কাজ করতে গিয়ে হাঁটুতে কোনোভাবেই আঘাত না লাগে এবং চাপ না পড়ে, সেইদিকে কঠোরভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। এমনকি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরও রোগীকে নিয়মিত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং নিয়মিত ফিজিওথেরাপি করাতে হবে। এই ফিজিওথেরাপি শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী হয়।

FAQ/এই রোগ সম্বন্ধে সাধারণতঃ যেসব প্রশ্ন সবচেয়ে বেশী করা হয়ে থাকে

অপারেশনের পর কতদিন হাসপাতালে থাকতে হবে?

প্রতি রোগীর ক্ষেত্রে সুস্থ হয়ে ওঠার সময়কাল একেক রকম হয়। তবু সাধারণতঃঅপারেশনের পর ৩ থেকে ৪ দিন হাসপাতালে থাকতে হয়। এই সময়ে রোগী সর্বক্ষণ কড়া পর্যবেক্ষনের মধ্যে থাকেন, যাতে ন্যূনতম জটিলতার সৃষ্টি হলেই দ্রুত তার সমাধান করা যায়। যদি জটিলতা বৃদ্ধি পায় বা গুরুতর হয়ে ওঠে, সেক্ষেত্রে একটু বেশী সময় আপনাকে হাসপাতালে থাকতে হতে পারে।

মেনিস্কাস টিয়ার অপারেশনের পর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠতে কত সময় লাগে?

এই অপারেশনের পর সম্পূর্ণভাবে সেরে উঠতে সাধারণতঃ ১ থেকে ৩ মাস সময় লাগে। প্রথম মাসের পর থেকেই রোগীর শরীরে উল্লেখযোগ্য উন্নতি লক্ষ্য করা যায়। এইসময় চিকিৎসক রোগীকে ক্রাচ ছাড়া স্বাভাবিক ভাবে হাঁটাচলা করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

মেনিস্কাস টিয়ার অপারেশনের সাফল্যের সম্ভাবনা কতখানি?

সাধারণতঃ এই অপারেশনের সাফল্যের পরিমাণ ৯৪%। কিন্তু মনে রাখতে হবে, মেনিস্কাস টিস্যুর মেরামতির সাফল্য একান্তভাবে শরীরে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা ও হাঁটুর স্থিতিশীলতার ওপর নির্ভর করে।

মেনিস্কাস টিস্যুর ক্ষত কি নিজে নিজে সেরে উঠতে পারে?

মেনিস্কাস টিস্যুর ক্ষত নিরাময় হওয়া একান্তভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত অংশের রক্ত সঞ্চালনের ওপর নির্ভর করে। রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা যত ভালো হবে, তত দ্রুত এই ক্ষত নিরাময় হবে। শরীরচর্চা ও ব্রেস বা বন্ধনী ইত্যাদি চিকিৎসা ব্যবস্থা অল্পমাত্রার মেনিস্কাস টিস্যুর ক্ষত সারিয়ে তুলতে পারে।

মেনিস্কাস টিয়ার অপারেশনের পর কি সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারি?

অবশ্যই। এই অপারেশনের পর রোগী সাধারণতঃ খুব দ্রুত আরোগ্য লাভ করেন। এবং এই আরোগ্যের মাত্রার ওপর তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাবার সময় নির্ভর করে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, দৈনন্দিন জীবনযাপনে ফিরে যাবার আগে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা অত্যন্ত জরুরী।

আমরা কীভাবে সাহায্য করি

আমাদের সম্পূর্ণ রোগী সহায়তা পরিষেবা নিশ্চিত করে যে আপনি ভারতে একটি মসৃণ এবং ঝামেলামুক্ত চিকিত্সার অভিজ্ঞতা পান

চিকিত্সা সিদ্ধান্ত

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন, আপনার প্রতিবেদনগুলি প্রেরণ করুন এবং আপনার পছন্দগুলি আমাদের জানান। তদনুসারে, আমাদের একজন রোগী পরামর্শদাতা আপনাকে মতামত এবং অনুমান গ্রহণে এবং আপনার পছন্দ অনুযায়ী সেরা হাসপাতালটি বেছে নিতে সহায়তা করবে।

চিকিত্সা সহায়তা

একবার আপনি হাসপাতাল চূড়ান্ত করার পরে, আমাদের দল আপনাকে ভিসা-আমন্ত্রণ-পত্র সরবরাহ করবে। আপনার দল আপনাকে বিমানবন্দরে গ্রহণ করবে এবং হাসপাতালে নিয়ে যাবে। আপনার সাপোর্ট অ্যাসোসিয়েট এর জন্য হাসপাতালে সম্পূর্ণ আনুষ্ঠানিকতা হবে।

সহায়তা সেবা

Ginger Healthcare সঙ্গে থাকতে আপনাকে কখনও বিদেশে ভ্রমণ সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে না। আমাদের সাবধানে ডিজাইন করা রোগী সহায়তা পরিষেবাগুলি নিশ্চিত করে যে প্রস্থান অবধি অবধি আপনার ভারতে একটি মসৃণ অভিজ্ঞতা আছে।