ইঙ্গুইনাল হার্নিয়া চিকিত্সার জন্য ভারতের সেরা চিকিৎসকগণ
- জেনারেল সার্জন, চেন্নাই, ভারত
- 45 বছরের বেশি অভিজ্ঞতা
প্রোফাইলের সারাংশ
- ডাঃ রামমূর্তি এন হলেন তামিলনাড়ুর একজন সিনিয়র সার্জন যার 45 বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে৷
- ডাঃ রামমূর্তি প্রাণবন্ত ব্যাধিগুলির জন্য অস্ত্রোপচারের চিকিৎসা প্রদান করেন। তার কিছু পরিষেবার মধ্যে রয়েছে ল্যাপারোস্কোপিক স্লিভ রিসেকশন, কোলোনোস্কোপি, এন্ডোস্কোপিক সার্জারি, টনসিলাইটিস চিকিৎসা এবং পিত্তথলির (পিত্তথলি) পাথরের চিকিৎসা।
- কোলোরেক্টাল সার্জন এবং রোবোটিক সার্জন, চেন্নাই, ভারত
- 26 বছরের বেশি অভিজ্ঞতা
প্রোফাইলের সারাংশ
- ডাঃ ভেঙ্কটেশ মুনিকৃষ্ণান হলেন চেন্নাইয়ের অন্যতম সেরা গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট এবং কলোরেক্টাল সার্জন এমন ব্যাধিগুলি যার অস্ত্রোপচারের চিকিত্সার প্রয়োজন আছে সেইগুলি পরিচালনা করার 21 বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
- ডাঃ মুনিকৃষ্ণান সার্জিক্যাল অনকোলজি, এন্ডোস্কোপি, গ্যাস্ট্রাইটিস চিকিৎসা ইত্যাদিতে বিশেষজ্ঞ।
- তিনি গবেষণায়ও সক্রিয় ছিলেন এবং সিটি কোলোনোগ্রাফির উপর তার একটি গবেষণা ব্র্যাকো, মিলান, ইতালি থেকে একটি অনুদান পেয়েছিল।
- জিআই সার্জন এবং লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন, গুরুগ্রাম, ভারত
- 20 বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা
প্রোফাইলের সারাংশ
- ডাঃ অমিত নাথ রাস্তোগি লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারির ক্ষেত্রে অগ্রগামী। দেশের সর্ববৃহৎ লিভার ট্রান্সপ্লান্ট প্রোগ্রামের অংশ হওয়ার সময় তিনি স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারিতে তার ফেলোশিপ সম্পন্ন করেন।
- তদুপরি, তিনি ফ্রান্সের IRCAD-স্ট্রাসবার্গ থেকে রোবোটিক লিভার সার্জারির প্রশিক্ষণ এবং গ্রোসেটো থেকে উন্নত রোবোটিক এইচপিবি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
- লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন, গুরুগ্রাম, ভারত
- 10 বছরের বেশি অভিজ্ঞতা
প্রোফাইলের সারাংশ
- ডাঃ প্রশান্ত বিলাস ভাঙ্গুই একজন উচ্চ প্রশিক্ষিত লিভার ট্রান্সপ্লান্ট বিশেষজ্ঞ যিনি সার্জিক্যাল গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি এবং লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশনে তার প্রশিক্ষণ পেয়েছেন।
- তিনি হেপাটো-বিলিয়ারি-অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারে একটি ইউরোপীয় ইন্টার-ইউনিভার্সিটি ডিপ্লোমাও ধারণ করেছেন।
- ডাঃ প্রশান্ত আরও কিছু ক্ষেত্রে কাজ করতে আগ্রহী যার মধ্যে রয়েছে হেপাটোসেলুলার কার্সিনোমা, কোলোরেক্টাল লিভার মেটাস্টেসস এবং জীবন্ত দাতা লিভার প্রতিস্থাপন। এর পাশাপাশি তিনি এসব বিষয়ে বেশ কিছু জার্নালও প্রকাশ করেছেন।
- গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট, গুরুগ্রাম, ভারত
- 7 বছরের বেশি অভিজ্ঞতা
প্রোফাইলের সারাংশ
- ডাঃ অভিনন্দন মিশ্রা গুরুগ্রামের একজন তরুণ গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি ডাক্তার যিনি প্রদাহজনক অন্ত্রের রোগের চিকিৎসায় বিশেষভাবে আগ্রহী।
- ডাঃ অভিনন্দন মিশ্রা এন্ডোস্কোপিক রেট্রোগ্রেড কোল্যাঞ্জিওপ্যানক্রিটোগ্রাফি, অ্যাসাইটস ট্যাপ, এন্ডোস্কোপি, পেরোরাল এন্ডোস্কোপিক মায়োটমি, ক্যাপসুল এন্ডোস্কোপি, ইসোফেজিয়াল ম্যানোমেট্রি, ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স কোল্যাঞ্জিওপ্যানক্রিটোগ্রাফি ইত্যাদি অফার করেন।
- গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট, গুরুগ্রাম, ভারত
- 18 বছরের বেশি অভিজ্ঞতা
প্রোফাইলের সারাংশ
- ডাঃ অতুল শর্মা গুরুগ্রামের একজন বিখ্যাত গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি অনুশীলনকারী এবং বিশেষ করে থার্ড স্পেস এন্ডোস্কোপি এবং পার ওরাল এন্ডোস্কোপিক মায়োটমি (POEM) এর প্রতি আগ্রহী।
- অ্যাডভান্সড ইন্টারভেনশনাল জিআই এন্ডোস্কোপিতে প্রশিক্ষণের সময় তিনি ম্যানোমেট্রি, লুমিনাল গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি এবং ইন্টারভেনশনাল গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজির উপর বেশ কিছু গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন।
- গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট, গুরুগ্রাম, ভারত
- 15 বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা
প্রোফাইলের সারাংশ
- ডাঃ কপিল জামওয়াল হলেন গুরুগ্রামের একজন বিখ্যাত জিআই অনুশীলনকারী যার পরিপাক এবং যকৃতের রোগের ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে।
- বিশেষজ্ঞ হেপাটাইটিস বি, জন্ডিস, হেপাটাইটিস সি, ইনফ্ল্যামেটরি বাওয়েল সিনড্রোম, অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস, লিভার ডিজিজ এবং ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের জন্য চিকিৎসা প্রদান করেন।
- গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট, গুরুগ্রাম, ভারত
- 18 বছরের বেশি অভিজ্ঞতা
প্রোফাইলের সারাংশ
- ডাঃ রাজেশ পাধান গুরুগ্রামের একজন বিখ্যাত গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট এবং এই ক্ষেত্রে 18 বছরেরও বেশি সময় ধরে বিস্তৃত অভিজ্ঞতা রয়েছে।
- তিনি বিভিন্ন এন্ডোস্কোপি পদ্ধতি যেমন কোলনোস্কোপি, এন্ডোস্কোপিক রেট্রোগ্রেড কোলাঞ্জিওপ্যানক্রিটোগ্রাফি, এন্ডোস্কোপিক আল্ট্রাসাউন্ড, আপার জিআই এন্ডোস্কোপি ইত্যাদি পরিচালনায় দক্ষ।
- গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট, হেপাটোলজিস্ট, গুরুগ্রাম, ভারত
- 25 বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা
প্রোফাইলের সারাংশ
- ডাঃ সাক্ষী কারকরা গুরুগ্রামের সেরা পেডিয়াট্রিক গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্টদের একজন।
- কোলোনোস্কোপি, আপার জিআই এন্ডোসকপি, ক্যাপসুল এন্ডোস্কোপি, এন্টারোস্কোপি, এন্ডোস্কোপিক ভেরিসিয়াল লাইগেশন, ফরেন বডি রিমুভাল, স্ট্রিকচার এবং অ্যাকলেসিয়া প্রসারণ, পলিপেক্টমি, অ্যানাল ম্যানোমেট্রি, লিভার বায়োপসি এবং কোলোনিক ম্যানোমেট্রিতে তার বিশেষ আগ্রহ/ দক্ষতা রয়েছে।
- গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট, লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন, গুরুগ্রাম, ভারত
- 17 বছরের বেশি অভিজ্ঞতা
প্রোফাইলের সারাংশ
- ডঃ শ্যাম সুন্দর মহনসারিয়া গুরুগ্রামের একজন পুরস্কারপ্রাপ্ত অঙ্গ প্রতিস্থাপন সার্জন।
- তিনি তার কর্মজীবনে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট বা অন্যান্য উন্মুক্ত এবং ল্যাপারোস্কোপিক জিআই সার্জারির প্রয়োজন হয় এমন বেশ কয়েকটি জটিল কেস পরিচালনা করেছেন। তিনি প্রায় 500টি লিভার উপড়ে ফেলার অস্ত্রোপচার করেছেন
ইঙ্গুইনাল হার্নিয়া চিকিত্সার জন্য ভারতের সেরা হাসপাতাল
ইঙ্গুইনাল হার্নিয়া
ইঙ্গুইনাল হার্নিয়ার কারণ
কিছু কিছু হার্নিয়ার কারণ জানা যায়না। এছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে সাধারণতঃ নিম্নলিখিত কারণে হার্নিয়া হতে পারে:
- মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ
- পেটের পেশীগুলিতে অতিরিক্ত চাপ পড়া
- ভারী কাজ
- দীর্ঘস্থায়ী কাশি
- পেটের পেশী কোনো দুর্বল অংশ সৃষ্টি হওয়া
- গর্ভাবস্থা
- মূত্রত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ পড়া
- বারবার হাঁচি হওয়া
অনেক গর্ভবতী মহিলারাই প্রসবের সময় পেটের পেশী দুর্বল হয়ে পড়ার কারণে ইঙ্গুইনাল হার্নিয়া দেখা দেয়, কারণ সন্তানপ্রসবের সমসয় অনেকক্ষেত্রে গর্ভাশয়ের আভ্যন্তরীণ পর্দাটি ঠিকঠাক বন্ধ হয়না। কারো কারো ক্ষেত্রে আবার বেশী বয়সে ইঙ্গুইনাল হার্নিয়া দেখা দেয়। এর মূল কারণ হল ধূমপানের ফলে সৃষ্টি হওয়া দীর্ঘস্থায়ী কাশি বা ভারী কাজ করার ফলে পেটের পেশী দুর্বল হয়ে যাওয়া। সার্জারি বা অন্য কোনো দুর্ঘটনার কারণেও বৃদ্ধাবস্থায় পেটের পেশী দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।
হার্নিয়ার জন্য দায়ী এই দুর্বল অংশ মূলতঃ ইঙ্গুইনাল ক্যানাল নামক অংশে সৃষ্টি হয়। এই ইঙ্গুইনাল ক্যানাল হল পেটের অভ্যন্তরে অবস্থিত একটি সরু নলাকার অংশ, যা পুরুষদেহে শুক্রাশয়ে থাকা স্পাৰ্মাটিক কর্ডে অবস্থান করে। নারীদেহে ইঙ্গুইনাল ক্যানাল গর্ভাশয় বা ইউটেরাসকে একটি লিগামেন্টের মাধম্যে ধারণ করে রাখে।এছাড়াও নারীদেহে পিউবিক অস্থির চারপাশে অবস্থিত কোষগুলি যেই স্থলে গর্ভাশয়ের সংযোগকারী কোষের সাথে যুক্ত হয়, সেখানেও ইঙ্গুইনাল হার্নিয়া হতে পারে।
ইঙ্গুইনাল হার্নিয়ার লক্ষণ
- পিউবিক অস্থির চারপাশে ফোলা ভাব
- ফোলা অংশে ব্যথা ও জ্বালার অনুভূতি
- কুঁচকিতে দুর্বলতা অনুভব হওয়া
- কুঁচকিতে ব্যথা
- শুক্রথলির চারপাশে ফুলে ওঠা ও ব্যথার অনুভব।
- ঝুঁকে কাজ করার সময়, ভারী জিনিস তুলতে বা অত্যধিক কাশি হলে অস্বস্তি
- কুঁচকিতে চাপ ধরা ভাব
- কুঁচকিতে ভারী ভাব অনুভূত হওয়া
শিশুদের ক্ষেত্রে উপসর্গ
শিশুদের মধ্যেও ইঙ্গুইনাল হার্নিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। মূলতঃ জন্মের সময় পেটের পেশীতে দুর্বলতার কারণেই শিশুদের এই হার্নিয়া হয়। এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধি শিশুরা কাঁদলে বা কাশলে স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। মলত্যাগের সময় কষ্ট হওয়াও শিশুদের ক্ষেত্রে এই রোগের একটি লক্ষণ। এইসমস্ত পরিস্থিতিতে নবজাতকের খাওয়ার পরিমাণ কমে যেতে পারে, এবং তাদের আচরণেও পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। একটু বেশি বয়সের শিশুদের ক্ষেত্রেও কাশি, মলত্যাগের সমস্যা বা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার সময় অসুবিধা দেখে বোঝা যায়। এই জটিলতার সাধারণ লক্ষণগুলি হল:
- জ্বর
- হার্নিয়ার ফোলা অংশটি গাঢ় লাল বা বেগুনি হয়ে যাওয়া
- বমিভাব ও বমি হওয়া
- দ্রুত ছড়িয়ে পড়া তীব্র ব্যথা
- মলত্যাগ করতে অসুবিধা
ইঙ্গুইনাল হার্নিয়ার রোগনিরূপণ
ইঙ্গুইনাল হার্নিয়া নির্ধারণ করার জন্য শারীরিক পরীক্ষা অবশ্যপ্রয়োজনীয়। এর জন্য চিকিৎসক আপনার কুঁচকি আশপাশে কোনো ফোলা ভাব রয়েছে কিনা তা অবশ্যই পরীক্ষা করে দেখবেন।
এছাড়াও তিনি আপনাকে কাশতে, দাঁড়াতে বা চাপ দিতে বলবেন কারণ এই সমস্ত ক্ষেত্রে হার্নিয়া সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায়। যদি শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে সরাসরি এই রোগ চিহ্নিত না করা যায়, তবে এর পাশাপাশি চিকিৎসক আপনার নানারকম প্রয়োজনীয় ইমেজিং টেস্ট, যেমন MRI বা সিটি স্ক্যান করাতে পারেন।
ইঙ্গুইনাল হার্নিয়ার চিকিৎসা
ওপেন হার্নিয়া রিপেয়ার
ল্যাপরোস্কোপিক রিপেয়ার
এই সার্জারিতে রোগীর শরীরে ন্যূনতম কাটাছেঁড়া করা হয় এবং এতে রোগীকে অ্যানেস্থেসিয়ার মাধ্যমে পুরোপুরি অজ্ঞান করে নেওয়া হয়। এরপর সার্জেন রোগীর পেটে একাধিক স্থানে ছোট ছোট কেটে নেন। এই সার্জারিতে পেটের অভ্যন্তরের অঙ্গগুলিকে ঠিকঠাক ভাবে দেখার জন্য সার্জেন গ্যাস প্রয়োগ করে পেটের আয়তন বৃদ্ধি করে নেন। এরপর কোনো একটি কাটার মধ্য দিয়ে ক্যামেরযুক্ত ল্যাপরোস্কোপ প্রবেশ করানো হয়। অতঃপর অন্যান্য ছিদ্রগুলি দিয়ে প্রয়োজনীয় যন্ত্র প্রবেশ করানো হয় এবং ক্যামেরার সাহায্যে কৃত্রিম তন্তু দ্বারা হার্নিয়াটি মেরামত করা হয়।
ল্যাপরিস্কোপিক সার্জারিতে সাধারণ সার্জারির তুলনায় অনেক কম জটিলতা থাকে এবং সার্জারি-জনিত কষ্টও অনেক।কম হয়। এই সার্জারির পর রোগী তুলনামূলকভাবে অনেক তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেন। তবুও কমপক্ষে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগে। ল্যাপরোস্কোপিক সার্জারিতে কোনোরকম ক্ষত বা দাগও সৃষ্টি হয়না। যদি কারো বাইল্যাটারাল হার্নিয়া থাকে, তবে তাদের পক্ষে ল্যাপরোস্কোপিক সার্জারিই উপযুক্ত।