ইঙ্গুইনাল হার্নিয়া চিকিত্সার জন্য ভারতের সেরা চিকিৎসকগণ

প্রোফাইলের সারাংশ

  • ডাঃ পৃথ্বীরাজ টি চেন্নাইয়ের অন্যতম সেরা সার্জন, যাঁর যুক্তরাজ্য এবং ভারতে 26 বছরেরও বেশি অনুশীলনের অভিজ্ঞতা রয়েছে৷
  • রাইনোপ্লাস্টি, ল্যাপারোস্কোপিক স্লিভ রিসেকশন, পাইলস ট্রিটমেন্ট, ভ্যাসার লাইপোসাকশন, প্লিওমরফিক অ্যাডেনোমা, এন্ডোস্কোপি, নন-সার্জিক্যাল ফ্যাট লস ইত্যাদির মতো বিভিন্ন অবস্থার জন্য রোগীরা অস্ত্রোপচার এবং নন-সার্জিক্যাল চিকিত্সার জন্য তাঁর কাছে যান।
  • তিনি ড. এডমন্ড লেরেডে চালকে মেমোরিয়াল পুরস্কার এবং ড. সি. অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে অবদানের জন্য রাঘবাচারী পুরস্কার পেয়েছেন।

প্রোফাইলের সারাংশ

  • ডাঃ রঘুনাথ কে জে সাধারণ অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে 27 বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা সহ একটি সুপরিচিত নাম।
  • গল ব্লাডার স্টোন চিকিৎসা, হার্নিয়া, জিআই ক্যান্সার সার্জারি, ল্যাপারোস্কোপিক স্লিভ রিসেকশন, এন্ডোস্কোপিক সার্জারি ইত্যাদিতে ডাঃ রঘুনাথের বিশেষ আগ্রহ রয়েছে।
  • তিনি কানাডা এবং ফ্রান্স থেকে উন্নত ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারির প্রশিক্ষণে গিয়েছিলেন।

প্রোফাইলের সারাংশ

  • ডাঃ অভিনন্দন মিশ্রা গুরুগ্রামের একজন তরুণ গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি ডাক্তার যিনি প্রদাহজনক অন্ত্রের রোগের চিকিৎসায় বিশেষভাবে আগ্রহী।
  • ডাঃ অভিনন্দন মিশ্রা এন্ডোস্কোপিক রেট্রোগ্রেড কোল্যাঞ্জিওপ্যানক্রিটোগ্রাফি, অ্যাসাইটস ট্যাপ, এন্ডোস্কোপি, পেরোরাল এন্ডোস্কোপিক মায়োটমি, ক্যাপসুল এন্ডোস্কোপি, ইসোফেজিয়াল ম্যানোমেট্রি, ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স কোল্যাঞ্জিওপ্যানক্রিটোগ্রাফি ইত্যাদি অফার করেন।

প্রোফাইলের সারাংশ

  • ডাঃ কপিল জামওয়াল হলেন গুরুগ্রামের একজন বিখ্যাত জিআই অনুশীলনকারী যার পরিপাক এবং যকৃতের রোগের ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে।
  • বিশেষজ্ঞ হেপাটাইটিস বি, জন্ডিস, হেপাটাইটিস সি, ইনফ্ল্যামেটরি বাওয়েল সিনড্রোম, অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস, লিভার ডিজিজ এবং ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের জন্য চিকিৎসা প্রদান করেন।

প্রোফাইলের সারাংশ

  • ডাঃ রাজেশ পাধান গুরুগ্রামের একজন বিখ্যাত গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট এবং এই ক্ষেত্রে 18 বছরেরও বেশি সময় ধরে বিস্তৃত অভিজ্ঞতা রয়েছে।
  • তিনি বিভিন্ন এন্ডোস্কোপি পদ্ধতি যেমন কোলনোস্কোপি, এন্ডোস্কোপিক রেট্রোগ্রেড কোলাঞ্জিওপ্যানক্রিটোগ্রাফি, এন্ডোস্কোপিক আল্ট্রাসাউন্ড, আপার জিআই এন্ডোস্কোপি ইত্যাদি পরিচালনায় দক্ষ।

প্রোফাইলের সারাংশ

  • ডাঃ রণধীর সুদ গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজির ক্ষেত্রে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল এন্ডোস্কোপি এবং থেরাপিউটিক হস্তক্ষেপে তার যুগান্তকারী অবদানের জন্য বিখ্যাত।
  • গুরুগ্রামের মেদান্তায় গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান হিসাবে, ডঃ সুদ ভারতে গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজির ক্ষেত্রে অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
  • ভারতে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল এন্ডোস্কোপির অনুশীলনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার কৃতিত্ব ডাঃ সুড। তিনি বিস্তৃত প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম এবং লাইভ ওয়ার্কশপের মাধ্যমে ক্লিনিকাল অনুশীলনে উন্নত জিআই এন্ডোস্কোপিক থেরাপি প্রতিষ্ঠা ও সংহত করার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছেন।

ইঙ্গুইনাল হার্নিয়া চিকিত্সার জন্য ভারতের সেরা হাসপাতাল

ইঙ্গুইনাল হার্নিয়া

অন্ত্রের পেশী বা ঐজাতীয় কোনো অংশ যদি পেটের দুর্বল অংশ দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে, তাকে ইঙ্গুইনাল হার্নিয়া বলে। নীচু হয়ে কোনো কাজ করার সময়, ভারী জিনিস তোলার সময় বা কাশি হলে ঐ বেরিয়ে থাকা ফোলা অংশটিতে প্রবল যন্ত্রণা হয়। যদিও সবার ক্ষেত্রে এই হার্নিয়া সাংঘাতিক নাও হতে পারে।

ইঙ্গুইনাল হার্নিয়ার কারণ

কিছু কিছু হার্নিয়ার কারণ জানা যায়না। এছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে সাধারণতঃ নিম্নলিখিত কারণে হার্নিয়া হতে পারে:

  • মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ
  • পেটের পেশীগুলিতে অতিরিক্ত চাপ পড়া
  • ভারী কাজ
  • দীর্ঘস্থায়ী কাশি
  • পেটের পেশী কোনো দুর্বল অংশ সৃষ্টি হওয়া
  • গর্ভাবস্থা
  • মূত্রত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ পড়া
  • বারবার হাঁচি হওয়া


অনেক গর্ভবতী মহিলারাই প্রসবের সময় পেটের পেশী দুর্বল হয়ে পড়ার কারণে ইঙ্গুইনাল হার্নিয়া দেখা দেয়, কারণ সন্তানপ্রসবের সমসয় অনেকক্ষেত্রে গর্ভাশয়ের আভ্যন্তরীণ পর্দাটি ঠিকঠাক বন্ধ হয়না। কারো কারো ক্ষেত্রে আবার বেশী বয়সে ইঙ্গুইনাল হার্নিয়া দেখা দেয়। এর মূল কারণ হল ধূমপানের ফলে সৃষ্টি হওয়া দীর্ঘস্থায়ী কাশি বা ভারী কাজ করার ফলে পেটের পেশী দুর্বল হয়ে যাওয়া। সার্জারি বা অন্য কোনো দুর্ঘটনার কারণেও বৃদ্ধাবস্থায় পেটের পেশী দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।

হার্নিয়ার জন্য দায়ী এই দুর্বল অংশ মূলতঃ ইঙ্গুইনাল ক্যানাল নামক অংশে সৃষ্টি হয়। এই ইঙ্গুইনাল ক্যানাল হল পেটের অভ্যন্তরে অবস্থিত একটি সরু নলাকার অংশ, যা পুরুষদেহে শুক্রাশয়ে থাকা স্পাৰ্মাটিক কর্ডে অবস্থান করে। নারীদেহে ইঙ্গুইনাল ক্যানাল গর্ভাশয় বা ইউটেরাসকে একটি লিগামেন্টের মাধম্যে ধারণ করে রাখে।এছাড়াও নারীদেহে পিউবিক অস্থির চারপাশে অবস্থিত কোষগুলি যেই স্থলে গর্ভাশয়ের সংযোগকারী কোষের সাথে যুক্ত হয়, সেখানেও ইঙ্গুইনাল হার্নিয়া হতে পারে।

ইঙ্গুইনাল হার্নিয়ার লক্ষণ

  • পিউবিক অস্থির চারপাশে ফোলা ভাব
  • ফোলা অংশে ব্যথা ও জ্বালার অনুভূতি
  • কুঁচকিতে দুর্বলতা অনুভব হওয়া
  • কুঁচকিতে ব্যথা
  • শুক্রথলির চারপাশে ফুলে ওঠা ও ব্যথার অনুভব।
  • ঝুঁকে কাজ করার সময়, ভারী জিনিস তুলতে বা অত্যধিক কাশি হলে অস্বস্তি
  • কুঁচকিতে চাপ ধরা ভাব
  • কুঁচকিতে ভারী ভাব অনুভূত হওয়া

শিশুদের ক্ষেত্রে উপসর্গ

শিশুদের মধ্যেও ইঙ্গুইনাল হার্নিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। মূলতঃ জন্মের সময় পেটের পেশীতে দুর্বলতার কারণেই শিশুদের এই হার্নিয়া হয়। এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধি শিশুরা কাঁদলে বা কাশলে স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। মলত্যাগের সময় কষ্ট হওয়াও শিশুদের ক্ষেত্রে এই রোগের একটি লক্ষণ। এইসমস্ত পরিস্থিতিতে নবজাতকের খাওয়ার পরিমাণ কমে যেতে পারে, এবং তাদের আচরণেও পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। একটু বেশি বয়সের শিশুদের ক্ষেত্রেও কাশি, মলত্যাগের সমস্যা বা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার সময় অসুবিধা দেখে বোঝা যায়। এই জটিলতার সাধারণ লক্ষণগুলি হল:

  • জ্বর
  • হার্নিয়ার ফোলা অংশটি গাঢ় লাল বা বেগুনি হয়ে যাওয়া
  • বমিভাব ও বমি হওয়া
  • দ্রুত ছড়িয়ে পড়া তীব্র ব্যথা
  • মলত্যাগ করতে অসুবিধা

ইঙ্গুইনাল হার্নিয়ার রোগনিরূপণ

ইঙ্গুইনাল হার্নিয়া নির্ধারণ করার জন্য শারীরিক পরীক্ষা অবশ্যপ্রয়োজনীয়। এর জন্য চিকিৎসক আপনার কুঁচকি আশপাশে কোনো ফোলা ভাব রয়েছে কিনা তা অবশ্যই পরীক্ষা করে দেখবেন।

এছাড়াও তিনি আপনাকে কাশতে, দাঁড়াতে বা চাপ দিতে বলবেন কারণ এই সমস্ত ক্ষেত্রে হার্নিয়া সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায়। যদি শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে সরাসরি এই রোগ চিহ্নিত না করা যায়, তবে এর পাশাপাশি চিকিৎসক আপনার নানারকম প্রয়োজনীয় ইমেজিং টেস্ট, যেমন MRI বা সিটি স্ক্যান করাতে পারেন।

ইঙ্গুইনাল হার্নিয়ার চিকিৎসা

যদি আপনার হার্নিয়ার আকার বড় হয়, তবে আপনার চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে আপনাকে কিছুদিন অপেক্ষা করার পরামর্শ দিতে পারেন। হার্নিয়াটি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আপনাকে একটি সাপোর্টিভ ট্রাস (বেল্টের মত একটি উপকরণ) পরতে হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে বাইরে থেকে হার্নিয়ার ফোলা অংশের ওপর চাপ প্রয়োগ করে ফোলা ভাব কমানো এই রোগের চিকিৎসার একটি সাধারণ পদ্ধতি। এর মাধ্যমে সার্জারির সম্ভাবনা কমানো যায়। কিন্তু যদি হার্নিয়ার আকার অনেক বড় হয়ে যায় বা প্রবল যন্ত্রনা হয়, সেক্ষেত্রে সার্জারিই এই রোগের জটিলতা ও অস্বস্তি থেকে মুক্তি পাবার একমাত্র পথ।

ওপেন হার্নিয়া রিপেয়ার

এটি একধরনের হার্নিয়ার সার্জারি। এই পদ্ধতিতে রোগীকে সম্পুর্ন বা আংশিক অ্যানেস্থেসিয়া অথবা ঘুমের ওষুধ দ্বারা অচেতন করে নেওয়া হয়। এরপর সার্জেন কুঁচকির ফোলা অংশটি ছোট করে কেটে হার্নিয়ার বেরিয়ে থাকা অংশটি ঠেলে ভেতরে ঢুকিয়ে দেবার চেষ্টা করবেন। তারপর তিনি পেটের পেশির দুর্বল অংশটি একধরনের কৃত্রিম তন্তু দ্বারা জুড়ে দেবেন। এই পদ্ধতিকে হার্নিওপ্লাস্টি বলে। সবশেষে, সার্জেন ওই কাটা অংশটি সেলাই করে বা মেডিক্যাল স্টেপলার বা আঠার মাধ্যমে জুড়ে দেবেন।

ল্যাপরোস্কোপিক রিপেয়ার

এই সার্জারিতে রোগীর শরীরে ন্যূনতম কাটাছেঁড়া করা হয় এবং এতে রোগীকে অ্যানেস্থেসিয়ার মাধ্যমে পুরোপুরি অজ্ঞান করে নেওয়া হয়। এরপর সার্জেন রোগীর পেটে একাধিক স্থানে ছোট ছোট কেটে নেন। এই সার্জারিতে পেটের অভ্যন্তরের অঙ্গগুলিকে ঠিকঠাক ভাবে দেখার জন্য সার্জেন গ্যাস প্রয়োগ করে পেটের আয়তন বৃদ্ধি করে নেন। এরপর কোনো একটি কাটার মধ্য দিয়ে ক্যামেরযুক্ত ল্যাপরোস্কোপ প্রবেশ করানো হয়। অতঃপর অন্যান্য ছিদ্রগুলি দিয়ে প্রয়োজনীয় যন্ত্র প্রবেশ করানো হয় এবং ক্যামেরার সাহায্যে কৃত্রিম তন্তু দ্বারা হার্নিয়াটি মেরামত করা হয়।

ল্যাপরিস্কোপিক সার্জারিতে সাধারণ সার্জারির তুলনায় অনেক কম জটিলতা থাকে এবং সার্জারি-জনিত কষ্টও অনেক।কম হয়। এই সার্জারির পর রোগী তুলনামূলকভাবে অনেক তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেন। তবুও কমপক্ষে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগে। ল্যাপরোস্কোপিক সার্জারিতে কোনোরকম ক্ষত বা দাগও সৃষ্টি হয়না। যদি কারো বাইল্যাটারাল হার্নিয়া থাকে, তবে তাদের পক্ষে ল্যাপরোস্কোপিক সার্জারিই উপযুক্ত।

আমরা কীভাবে সাহায্য করি

আমাদের সম্পূর্ণ রোগী সহায়তা পরিষেবা নিশ্চিত করে যে আপনি ভারতে একটি মসৃণ এবং ঝামেলামুক্ত চিকিত্সার অভিজ্ঞতা পান

চিকিত্সা সিদ্ধান্ত

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন, আপনার প্রতিবেদনগুলি প্রেরণ করুন এবং আপনার পছন্দগুলি আমাদের জানান। তদনুসারে, আমাদের একজন রোগী পরামর্শদাতা আপনাকে মতামত এবং অনুমান গ্রহণে এবং আপনার পছন্দ অনুযায়ী সেরা হাসপাতালটি বেছে নিতে সহায়তা করবে।

চিকিত্সা সহায়তা

একবার আপনি হাসপাতাল চূড়ান্ত করার পরে, আমাদের দল আপনাকে ভিসা-আমন্ত্রণ-পত্র সরবরাহ করবে। আপনার দল আপনাকে বিমানবন্দরে গ্রহণ করবে এবং হাসপাতালে নিয়ে যাবে। আপনার সাপোর্ট অ্যাসোসিয়েট এর জন্য হাসপাতালে সম্পূর্ণ আনুষ্ঠানিকতা হবে।

সহায়তা সেবা

Ginger Healthcare সঙ্গে থাকতে আপনাকে কখনও বিদেশে ভ্রমণ সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে না। আমাদের সাবধানে ডিজাইন করা রোগী সহায়তা পরিষেবাগুলি নিশ্চিত করে যে প্রস্থান অবধি অবধি আপনার ভারতে একটি মসৃণ অভিজ্ঞতা আছে।