মাথা ও ঘাড়ের ক্যান্সার চিকিৎসায় ভারতের সেরা চিকিৎসকগণ

মাথা ও ঘাড়ের ক্যান্সার চিকিৎসায় ভারতের সেরা হাসপাতালগুলো

পিএসআরআই হাসপাতাল, নয়াদিল্লি

হাসপাতালের কথা

  • 1996 সালে প্রতিষ্ঠিত, পুষ্পবতী সিংহানিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট হল এনসিআর অঞ্চলের অন্যতম শীর্ষ হাসপাতাল, সেইসাথে গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজির জন্য ভারতের শীর্ষস্থানীয় সুবিধাগুলির মধ্যে একটি। হাসপাতালটি হজম সংক্রান্ত রোগের চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচার চিকিৎসায় দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি।
  • হাসপাতালটি অত্যাধুনিক সুবিধা সহ অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সাথে ভারতের বিভিন্ন স্থানের পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য অংশের বিখ্যাত পরামর্শদাতাদের সাথে সজ্জিত।

ইন্ডিয়ান স্পাইনাল ইনজুরি সেন্টার, নিউ দিল্লি, ভারত

হাসপাতালের কথা

  • ইন্ডিয়ান স্পাইনাল ইনজুরি সেন্টার (ISIC), সমস্ত ধরণের মেরুদণ্ডের ব্যাধিগুলির ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যাধুনিক সুবিধা প্রদান করে।
  • আন্তর্জাতিকভাবে প্রশিক্ষিত, প্রশংসিত এবং নিবেদিত মেরুদন্ডী শল্যচিকিৎসকদের সাথে কর্মী, হাসপাতালটি আধুনিক চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচার প্রযুক্তি প্রদান করে। হাসপাতালটি মেরুদণ্ডের আঘাত, পিঠে ব্যথা, মেরুদণ্ডের বিকৃতি, টিউমার, অস্টিওপোরোসিস ইত্যাদির ব্যাপক ব্যবস্থাপনা প্রদান করে।
  • হাসপাতালটি ডিস্ক প্রতিস্থাপন এবং গতিশীল স্থিরকরণ, এন্ডোস্কোপিক ডিস্ক ছেদনের মতো ন্যূনতম আক্রমণাত্মক মেরুদণ্ডের সার্জারি সহ গতি সংরক্ষণকারী মেরুদণ্ডের সার্জারিগুলি সম্পাদন করে।
  • হাসপাতালের অর্থোপেডিক পরিষেবা ট্রমা, জয়েন্টের রোগ এবং প্রতিস্থাপন, অনকোলজি, পেডিয়াট্রিক অর্থোপেডিকস এবং উপরের অঙ্গের অসুস্থতা সহ সমস্ত অর্থোপেডিক অসুস্থতা কভার করে।

ডব্লিউ প্রতীক্ষা হাসপাতাল, গুরুগ্রাম, ভারত

হাসপাতালের কথা

  • ডাব্লু প্রতিক্ষা হাসপাতাল, গুরুগ্রাম, এনসিআর অঞ্চলের অন্যতম সেরা হাসপাতাল। এটি IVF-এর জন্য ভারতের একটি শীর্ষ হাসপাতালও। প্রতিষ্ঠার পর থেকে, হাসপাতালটি 5500 টিরও বেশি সফল আইভিএফ করেছে। হাসপাতালটি গাইনোকোলজিতেও বিশেষজ্ঞ।
  • মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে 20 বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতার সাথে, হাসপাতালটি ভারতের সবচেয়ে বিশ্বস্ত এবং মূল্যবান স্বাস্থ্য প্রদানকারী হিসাবে পরিচিত।
  • বিশ্বমানের চিকিৎসা সুবিধা এবং উন্নত প্রযুক্তিতে সজ্জিত, হাসপাতালের ডাক্তার এবং চিকিত্সকদেরও চমৎকার ফলাফল প্রদানের ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে। হাসপাতালটি নিরাময়মূলক চিকিত্সার মতো প্রতিরোধমূলক সুস্থতার দিকেও মনোযোগ দেওয়ার জন্যও পরিচিত।
  • সাশ্রয়ী মূল্যে সেরা উপলব্ধ চিকিৎসা প্রদানের জন্য হাসপাতালটি রোগীদের আস্থা অর্জন করেছে।

নারায়ণা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল, গুরুগ্রাম

হাসপাতালের কথা

  • গুরুগ্রামের ডিএলএফ সাইবার সিটির কাছে অবস্থিত, নারায়না সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল দিল্লি এনসিআর অঞ্চলের অন্যতম শীর্ষ চিকিৎসা সুবিধা, যা মানুষের চাহিদা পূরণ করে। মানসম্পন্ন চিকিৎসা সেবা এবং রোগীর সেবার প্রতি দায়বদ্ধতার জন্য পরিচিত, হাসপাতালটি পরিকল্পিত এবং সুসজ্জিত বিভাগ সহ একটি অত্যাধুনিক সুবিধা, যার মধ্যে একটি প্রশস্ত OPD এলাকা এবং রোগীদের আরামদায়ক কক্ষ রয়েছে।
  • এটি ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গুরুগ্রামের দিকে ক্লোসেট সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল এবং ডিএলএফ সাইবার সিটির নিকটতম সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল। এটি গুরুগ্রামের প্রধান আবাসিক এলাকার কাছাকাছিও।
  • এটি বিখ্যাত নারায়ণ স্বাস্থ্য গ্রুপের অংশ। 2000 সালে, বিখ্যাত কার্ডিয়াক সার্জন ডাঃ দেবী শেট্টি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, এটি ভারতের নেতৃস্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা গোষ্ঠীগুলির জন্য একটি হয়ে উঠেছে। ভারতের বেঙ্গালুরুতে সদর দপ্তর অবস্থিত, নারায়না হেলথ এখন মোট 21টি হাসপাতাল নিয়ে গঠিত এবং উত্তর, পশ্চিম ও মধ্য ভারতের অন্যতম প্রধান স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

সিকে বিড়লা হাসপাতাল গুরুগ্রাম

হাসপাতালের কথা

  • গুরুগ্রামের সিকে বিড়লা হাসপাতাল একটি NABH-স্বীকৃত মাল্টি-স্পেশালিটি হাসপাতাল।
  • হাসপাতালটি UK NHS নার্স এবং মিডওয়াইফ প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়ানোর চেষ্টা করে। ইউনাইটেড কিংডমের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর হেলথ অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট এক্সিলেন্স (NICE) সুপারিশগুলি থেকে প্রাপ্ত নীতি এবং অনুশীলনগুলি নিশ্চিত করে যে সুরক্ষা, উচ্চ-মানের ক্লিনিকাল যত্ন এবং স্যানিটেশনের উপর একটি শক্তিশালী ফোকাস বজায় রাখা হয়েছে।
  • হাসপাতালের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং সুবিধাগুলি যত্নশীলদের মধ্যে রিয়েল-টাইম যোগাযোগ এবং নিরবচ্ছিন্ন সহযোগিতার জন্য, সঠিকতা এবং সর্বোত্তম সম্ভাব্য ফলাফল নিশ্চিত করার অনুমতি দেয়। যাদের বিদেশী অভিজ্ঞতা এবং স্বীকৃতি রয়েছে তারা হাসপাতালের চিকিত্সকদের দলের অংশ।

KIMS হাসপাতাল, সেকেন্দ্রাবাদ | KIMS হাসপাতাল, হায়দ্রাবাদ

হাসপাতালের কথা

  • KIMS হাসপাতাল (কৃষ্ণ ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের একটি ব্র্যান্ড নাম) হায়দ্রাবাদের বৃহত্তম এবং সেরা মাল্টি-স্পেশালিটি হাসপাতালগুলির মধ্যে একটি। হাসপাতালটি বিপুল সংখ্যক রোগীর বিভিন্ন চিকিৎসা প্রদান করে।
  • হাসপাতালের ধারণক্ষমতা তিন হাজারের বেশি শয্যার। KIMS হাসপাতাল 25 টিরও বেশি বিশেষত্ব এবং সুপার স্পেশালিটিতে বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে।
  • হাসপাতালগুলো আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম ও প্রযুক্তিতে সজ্জিত। রোগীদের জন্য ন্যূনতম আক্রমণাত্মক কৌশল প্রদান করার জন্য তাদের রোবোটিক সরঞ্জাম রয়েছে।
    হাসপাতালটির লক্ষ্য রোগীদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা এবং সেবা প্রদান করা।
  • হাসপাতালের বিভিন্ন বিশেষত্ব এবং বিভাগগুলির মধ্যে রয়েছে নিউরোসায়েন্স, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি এবং হেপাটোলজি, রোবোটিক সায়েন্স, প্রজনন বিজ্ঞান, ডেন্টাল সায়েন্স, অনকোলজিকাল সায়েন্স, অঙ্গ প্রতিস্থাপন, হার্ট এবং ফুসফুস প্রতিস্থাপন এবং মা ও শিশু যত্ন।

ফোর্টিস হাসপাতাল, শালিমার বাগ

হাসপাতালের কথা

  • শালিমারবাগের ফোর্টিস হাসপাতাল হল একটি মাল্টি-সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল যা কোনো কসরত না রেখে বিশ্বমানের রোগীদের সেবা প্রদানের জন্য প্রচেষ্টা করে।
  • ফোর্টিস, শালিমার বাগ, 262 শয্যা এবং 7.34-একর ফুটপ্রিন্ট সহ, তার ডাক্তার, নার্স, প্রযুক্তিবিদ এবং ব্যবস্থাপনা পেশাদারদের দলের মাধ্যমে সর্বোত্তম স্তরের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে।

ভেঙ্কটেশ্বর হাসপাতাল, দ্বারকা, নয়াদিল্লি

হাসপাতালের কথা

  • প্রকৃত চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য ভেঙ্কটেশ্বর হাসপাতালে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং নিবেদিত স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের এক ছাদের নিচে একত্রিত করা হয়েছে। হাসপাতালের পেশাদাররা সবচেয়ে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের রোগীদের সম্ভাব্য সর্বোত্তম চিকিৎসা প্রদানের জন্য একটি দল হিসাবে একসাথে কাজ করে।
  • ভেঙ্কটেশ্বর হাসপাতালের লক্ষ্য হল অত্যন্ত দক্ষ বিশেষজ্ঞদের একটি দল দ্বারা প্রমাণ-ভিত্তিক, নৈতিক ক্লিনিকাল অনুশীলন এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বাস্থ্যসেবায় বিশ্বব্যাপী শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা।

মারেঙ্গো এশিয়া হাসপাতাল, ফরিদাবাদ

হাসপাতালের কথা

ফরিদাবাদের বিস্তীর্ণ শহরে, যেখানে স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনীয়তা বৈচিত্র্যময় এবং সর্বদা বিকশিত, একটি প্রতিষ্ঠান ক্রমাগতভাবে ওষুধের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্বের বাতিঘর হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে—মারেঙ্গো এশিয়া হাসপাতাল। এটি যে সম্প্রদায়ের সেবা করে তাকে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের একটি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রতিষ্ঠিত, মারেঙ্গো এশিয়া হাসপাতাল স্বাস্থ্যসেবায় মান, সহানুভূতি এবং উদ্ভাবনের সমার্থক একটি বিশ্বস্ত নাম হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।

মাথা ও ঘাড়ের ক্যান্সার (হেড ও নেক ক্যান্সার)

যে রোগে ঘাড় ও গলার কোষগুলি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পায় এবং তার সাথে সাথে রক্ত ও লসিকা সংবহনের মাধ্যমে দ্রুত আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে দেহের অন্যান্য অঙ্গের ক্ষতিসাধন করে, তাকে হেড অ্যান্ড নেক ক্যান্সার বলে।

এই ক্যান্সার মূলতঃ ল্যারিংক্স বা স্বরযন্ত্র, গলা, ঠোঁট, মুখগহ্বর, নাক এবং লালগ্রন্থিতে হয়।

মাথা ও ঘাড়ের ক্যান্সারের কারণ

  • অতিরিক্ত ধূমপান এবং অত্যধিক মদ্যপান হেড অ্যান্ড নেক ক্যান্সারের অন্যতম কারণ
  • দীর্ঘ সময় ধরে সূর্যালোকে শরীরের কোনো অঙ্গ অনাবৃত অবস্থায় থাকার ফলে সেইসব অংশের ত্বকে ক্যান্সার হতে পারে
  • হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসও (HPV) হেড অ্যান্ড নেক ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে
  • মুখ ও দাঁত অপরিষ্কার থাকা এবং দুর্বল স্বাস্থ্যবিধি
  • শরীরের দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
  • কাজের পরিবেশে বিভিন্ন রকম ক্ষতিকর পদার্থ যেমন অ্যাসবেস্টাস, কাঠের গুঁড়ো বা ধোঁয়া, রঙের বাষ্প ইত্যাদির উপস্থিতিতে শ্বাস নেওয়াও হেড অ্যান্ড নেক ক্যান্সার হবার একটি বড় কারণ।

মাথা ও ঘাড়ের ক্যান্সারের লক্ষণ ও উপসর্গ

  • দীর্ঘ দিন যাবৎ গলা ব্যথা
  • মুখে লাল বা সাদা রঙের দাগ
  • লালার সাথে রক্ত ক্ষরণ
  • গলার কাছে ফোলা ভাব, যা দীর্ঘ সময় পরও নিরাময় হতে চায়না
  • চিবানো, ঢোক গেলা বা চোয়াল ও জিভ নাড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যথা ও অস্বস্তি ভাব
  • দীর্ঘ দিন যাবৎ নাক বন্ধ থাকা
  • হাইজিন বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সত্ত্বেও মুখে দুর্গন্ধ হওয়া
  • দীর্ঘদিন ধরে সর্দির সমস্যা
  • ঘন ঘন মাথা ব্যথা হওয়া
  • কানে কম শোনা
  • মুখ বা মুখের অংশ অসাড় হয়ে যাওয়া

মাথা ও ঘাড়ের ক্যান্সারের রোগ নিরূপণ

  • শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে গলা, ঘাড়, ঠোঁট, মাড়ি বা গালে কোনো ফোলা ভাব আছে কিনা দেখা
  • প্রস্রাব ও রক্ত পরীক্ষা
  • এন্ডোস্কোপি নামক পরীক্ষার মাধ্যমে হেড অ্যান্ড নেক ক্যান্সারের উপস্থিতি পরীক্ষা করা যায়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ মাথা ও গলার অভ্যন্তরে এন্ডোস্কোপ নামক একটি ছোট ক্যামেরা বিশিষ্ট নলের মত যন্ত্র প্রবেশ করিয়ে ছবি তুলে ওই নির্দিষ্ট অঙ্গগুলির ভেতরের অবস্থা পর্যবেক্ষন করতে পারেন।
  • বায়োপসি নামক পরীক্ষার মাধ্যমেও এই রোগ নিরূপণ করা যায়। এই পদ্ধতিতে আক্রান্ত অঙ্গের থেকে কিছু পরিমাণ কোষের নমুনা সংগ্ৰহ করে গবেষণাগারে পরীক্ষা করে দেখা হয় যে তার মধ্যে ক্যান্সার কোষ রয়েছে কিনা। বায়োপসির মাধ্যমে রোগীর শরীরে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (HPV) রয়েছে কিনা তাও বোঝা যায়।
  • টিউমারের আকার এবং প্রকৃতি বোঝার জন্য সিটি স্ক্যান পরীক্ষা
  • ম্যাগনেটিক রেজন্যান্স ইমেজিং বা এম আর আই পরীক্ষার মাধ্যমেও টিউমারের আকার জানা যায়।
  • বোন স্ক্যান বা হাড়ের স্ক্যান করে জানা যায় যে শরীরের হাড় গুলিতে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছে কিনা
  • PET- CT স্ক্যানের দ্বারা চিকিৎসার সাফল্য জানা যায়। এবং এই একই পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সার পুনরায় ফিরে এসেছে কিনা তাও জানা যায়।

মাথা ও ঘাড়ের ক্যান্সারের চিকিৎসা পদ্ধতি

হেড অ্যান্ড নেক ক্যান্সারের চিকিৎসা মূলতঃ একাধিক পদ্ধতির একত্রিত প্রয়োগের দ্বারা করা হয়ে থাকে। এই পদ্ধতিগুলি হল:

সার্জারি

হেড অ্যান্ড নেক ক্যান্সারের চিকিৎসায় সার্জারি বা অপারেশনই প্রথম ও সর্বপ্রধান চিকিৎসা। বিশেষতঃ এই রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে সার্জারি বিশেষভাবে কার্যকরী হয়। হেড অ্যান্ড নেক ক্যান্সারের জন্য উপলব্ধ বিভিন্ন সার্জারিগুলি হল-

 

  • ল্যারিঞ্জেক্টমি: এই পদ্ধতিতে মূলতঃ স্বরযন্ত্রের অপারেশন করা হয়। এটি দুইপ্ৰকার- সম্পূর্ণ বা টোটাল এবং আংশিক বা পার্শিয়াল ল্যারিঞ্জেক্টমি। স্বরযন্ত্রের ছোট আকারের ক্যান্সারের জন্য আংশিক বা পার্শিয়াল ল্যারিঞ্জেক্টমি করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই অপারেশনে শুধুমাত্র স্বরযন্ত্রের ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি কেটে বাদ দেওয়া হয়। অন্যদিকে, ক্যান্সার আক্রান্ত অংশের পরিমাণ যদি অত্যধিক হয়, তবে সেক্ষেত্রে টোটাল ল্যারিঞ্জেক্টমি করতে হয়। এই ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বরযন্ত্রটিই কেটে বাদ দিতে হয়।

 

  • গলা ও ঘাড়ের অপারেশন: যদি আপনার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মনে করেন যে ক্যান্সার শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়েছে, তবে তিনি ঘাড়ের লসিকাগ্রন্থি বা লিম্ফ নোড অপারেশন করে নাদ দেবার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

 

  • ফ্ল্যাপ সার্জারি: এই ধরণের অপারেশনে ক্যান্সার আক্রান্ত টিস্যু প্রতিস্থাপন করা হয়। প্রতিস্থাপিত টিস্যুগুলি কেবলমাত্র সফ্ট টিস্যু বা অস্থি ও সফ্ট টিস্যু দুইই হতে পারে।

কেমোথেরাপি

কেমোথেরাপি হল মূলতঃ একটি ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধ বা চিকিৎসা ব্যবস্থা, যা শরীরের অভ্যন্তরে অতি দ্রুতহারে বাড়তে থাকা ক্যান্সার সেল বা কোষগুলির বৃদ্ধি রোধ করতে সহায়তা করে এবং তাদের নির্মূল করে। এই ওষুধ সাধারণতঃ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে চলা ক্যান্সার সেল বা কোষগুলিকে ধ্বংস করার মাধ্যমে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

যদিও কেমোথেরাপির বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, তা সত্ত্বেও এটি ক্যান্সারের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সর্বাধিক প্রচলিত পদ্ধতি। এই চিকিৎসা পদ্ধতি রেডিয়েশন বা ক্যান্সারের অপারেশনের চাইতে আলাদা। কারণ, রেডিয়েশন থেরাপি বা অপারেশন ক্যান্সারে আক্রান্ত কোষগুলিকে তাদের নির্দিষ্ট স্থানে লক্ষ্য করে চিকিৎসা করে। অন্যদিকে, কেমোথেরাপির ওষুধ মেটাস্টেসিস পর্যায়ে থাকা অর্থাৎ দেহের অন্যান্য অংশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া ক্যান্সার সেলগুলিকেও ধংস করতে সক্ষম। (আরও বিস্তারিত জানতে পড়ুন: কেমোথেরাপি)

রেডিয়েশন থেরাপি

রেডিয়েশন থেরাপি হল এমন এক ধরণের ক্যান্সার চিকিৎসা যাতে ক্যান্সার সেলগুলি ধংস করার জন্য উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন রশ্মি প্রয়োগ করে টিউমারটি বা টিউমারগুলিকে সঙ্কুচিত কর হয়। এই উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন রশ্মি ক্যান্সার সেলের ডি এন এ ধ্বংস করে শরীরের ক্যান্সার নির্মূল করে। ক্ষতিগ্রস্ত ডি এন এ বিশিষ্ট ক্যান্সার সেলগুলি আর বাড়তে পারেনা, ফলে তা ক্রমশঃ ধ্বংস হয়ে যায়। এরপর , সেই ধ্বংসপ্রাপ্ত কোষগুলি দেহের স্বাভাবিক নিয়মেই দেহ থেকে অপসারিত হয়ে যায়, এবং এইভাবে ক্যান্সার নির্মূল হয়। (আরও বিস্তারিত জানতে পড়ুন: রেডিয়েশন থেরাপি)

ইমিউনোথেরাপি

ইমিউনথেরাপি, বা বায়োলজিক্যাল থেরাপি হল এক উন্নত ধরণের ক্যান্সারের চিকিৎসা। এই পদ্ধতিতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটিয়ে শরীরকে ক্যান্সারের সাথে লড়ার উপযোগী করে তোলা হয়, যাতে তা নিজেই ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে। ইমিউনথেরাপিতে দেহে তৈরী হওয়া নিজস্ব উপাদান অথবা গবেষণাগারে তৈরী উপাদান ব্যবহার করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়। (আরও বিস্তারিত জানতে পড়ুন: ইমিউনোথেরাপি)

সাহায্য প্রয়োজন?

আপনি কি একজন আন্তর্জাতিক রোগী ভারতে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুঁজছেন?

ভারতের সবচেয়ে বিশ্বস্ত চিকিৎসা-সহায়তা কোম্পানি – Ginger Healthcare থেকে ভারতে চিকিৎসার জন্য বিনামূল্যে গাইডেন্স ও সহায়তা পান।

যোগাযোগ করুন

একজন রোগী-সহায়কের সাথে কথা বলুন | চিকিৎসার মতামত ও অনুমান পান | অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করুন !