মূত্রাশয় ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য ভারতের সেরা চিকিৎসকগণ

প্রোফাইলের সারাংশ

  • ডাঃ রমেশ সারিন ভারতের অন্যতম সেরা সার্জিকাল অনকোলজিস্ট, যার 49 বছরের বিশাল অভিজ্ঞতা রয়েছে।
  • তদ্ব্যতীত, অভিজ্ঞ অনকোলজিস্ট স্তন ক্যান্সার এবং সেন্টিনেল নোড বায়োপসির মতো সম্পর্কিত ব্যাধিগুলি পরিচালনার দিকে মনোনিবেশ করেন।
  • তিনি ফাইরিঞ্জিয়াল ক্যান্সার, জরায়ু ক্যান্সার, মূত্রাশয় ক্যান্সার, সার্ভিকাল ক্যান্সার, লিভার ক্যান্সার, ফ্যালোপিয়ান টিউব ক্যান্সার, হাড়ের ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার, কোলন এবং রেকটাল ক্যান্সার, লিম্ফেডেমা এবং ব্রেন ক্যান্সারে আগ্রহী।

প্রোফাইলের সারাংশ

  • ডাঃ সমীর কৌল নতুন দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের অ্যাপোলো ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের একজন সার্জিক্যাল অনকোলজিস্ট
  • ডাঃ কাউল মাথা ও ঘাড়, স্তন, বক্ষের অঞ্চল, জিআই, জিনিটোরিনারি, নরম টিস্যু এবং হাড়ের সাথে সম্পর্কিত সমস্ত ধরণের ক্যান্সার সার্জারি করেন।
  • অ্যাপোলোতে যোগদানের আগে, ডাঃ সমীর কৌল ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে বিভিন্ন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে কাজ করেছেন এবং সফল চিকিৎসা দিয়েছেন।

প্রোফাইলের সারাংশ

  • ডাঃ বেদান্ত কাবরা একজন স্বনামধন্য সার্জিক্যাল অনকোলজিস্ট যিনি স্তন, মাথা ও ঘাড়, থোরাসিক, ইউরোলজিক্যাল এবং জিআই ক্যান্সারের অস্ত্রোপচারের চিকিৎসায় বিশেষীকরণ করেছেন।
  • এই ক্ষেত্রে তার 20 বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং স্তন, জিআই, মাথা এবং ঘাড় এবং থোরাসিক এবং জিআই ক্যান্সার সম্পর্কিত 12,000টিরও বেশি ক্যান্সার সার্জারি করেছেন।

প্রোফাইলের সারাংশ

  • ডাঃ গগন গৌতমকে দেশের সেরা ইউরো অনকোলজি সার্জনদের মধ্যে বিবেচনা করা হয় এবং কিডনি, প্রোস্টেট এবং মূত্রথলির ক্যান্সার সম্পর্কিত 700 টিরও বেশি অস্ত্রোপচার করেছেন।
  • ডঃ গৌতম ইউরো ক্যান্সার সার্জারির সময় রোবোটিক পদ্ধতি ব্যবহার করার জন্য বিখ্যাত এবং ভারতের খুব কম ডাক্তারদের মধ্যে রয়েছেন যারা রোবোটিক ইউরো সার্জারিতে অত্যন্ত দক্ষ।
  • রোবোটিক পদ্ধতির পাশাপাশি, ডাঃ গৌতম কিডনি, মূত্রাশয় এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারের জন্য খোলা, এন্ডোস্কোপিক এবং ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারিতেও অত্যন্ত দক্ষ।

প্রোফাইলের সারাংশ

  • ইউরোলজির ক্ষেত্রে একজন অসামান্য ডাক্তার, ডঃ আংশুমান আগরওয়াল ভারতে ইউরোলজিক্যাল ক্যান্সারের জন্য রোবোটিক সার্জারি এবং ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি নিখুঁত করতে 23+ বছর অতিবাহিত করেছেন।
  • তিনি ন্যূনতম অ্যাক্সেস সার্জারিতে একজন বিশেষজ্ঞ যার মধ্যে রয়েছে প্রোস্টেট (HOLEP) এবং PCNL এর জন্য Holmium লেজার সার্জারি এবং পাথরের জন্য RIRS।
  • ডাঃ আংশুমান আগরওয়াল প্রোস্টেট ক্যান্সার, কিডনি এবং মূত্রাশয়ের জন্য 200 টিরও বেশি রোবোটিক সার্জারি করেছেন এবং তিনি নতুন দিল্লির অন্যতম বিখ্যাত ইউরোলজিস্ট হিসাবে পরিচিত।

প্রোফাইলের সারাংশ

  • ডাঃ ফিরোজ পাশা দিল্লির অন্যতম সেরা অনকোলজি সার্জন। তার 35 বছরের সামগ্রিক অভিজ্ঞতায়, তার 25 বছরের বিশেষত্ব রয়েছে। তার প্রাথমিক আগ্রহ ইউরো- এবং গাইন-অনকোলজি পদ্ধতিতে রয়েছে।
  • সার্জিক্যাল অনকোলজিতে তার অভিজ্ঞতার সময়, ডাঃ পাশা রেডিওফ্রিকোয়েন্সি সহ পোর্ট ইনসার্টেশন এবং টিউমার অ্যাবলেশনে বিশেষজ্ঞ ছিলেন।
  • ডাঃ ফিরোজ পাশা বিভিন্ন চিকিৎসা বিষয়ক গবেষণাপত্র এবং তার ক্যান্সার গবেষণা অধ্যয়নগুলি মর্যাদাপূর্ণ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

প্রোফাইলের সারাংশ

  • ডাঃ রাজেশ তানেজা হলেন ভারতের অন্যতম সেরা ইউরোলজিস্ট।
  • ডাঃ তানেজা প্রস্রাবের অঙ্গগুলির জন্মগত অসঙ্গতিগুলি সংশোধন করার জন্য সার্জারিতে বিশেষজ্ঞ; ফিমোসিস, পিইউজে অবস্ট্রাকশন, মেগাউরেটর, হাইড্রোনেফ্রোসিস, ভেসিকোরেটেরিক রিফ্লাক্স (ভিইউআর), হাইপোস্প্যাডিয়াস, পোস্টেরিয়র ইউরেথ্রাল ভালভ (পিইউভি), একটোপিয়া ভেসিকা এবং অন্যান্য।
  • তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে রোবোটিক সার্জিক্যাল পদ্ধতিতে প্রশিক্ষিত এবং ভারতে রোবোটিক ইউরোলজিক্যাল সার্জারি করা কয়েকজন ইউরোলজিস্টদের মধ্যে একজন।

মূত্রাশয় ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য ভারতের সেরা হাসপাতালগুলো

ইন্দ্রপ্রস্থ আ্যপোলো হাসপাতাল নয়াদিল্লী, ভারত

হাসপাতালের কথা

  • ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতাল ভারতের রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে একটি 700 শয্যা বিশিষ্ট মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল। এটি অ্যাপোলো হসপিটাল গ্রুপের একটি অংশ, ভারতের অন্যতম স্বনামধন্য স্বাস্থ্যসেবা চেইন। ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতাল জয়েন্ট কমিশন ইন্টারন্যাশনাল দ্বারা স্বীকৃত হয়েছে, এটি 2005 সালে দেশের প্রথম আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত।
  • হাসপাতালটি 15 একর জুড়ে বিস্তৃত। দেশের অন্যতম সেরা কার্ডিওলজি সেন্টার সহ হাসপাতালে 52টি বিশেষত্ব রয়েছে। হাসপাতালটি এশিয়ার বৃহত্তম স্লিপ ল্যাব এবং ভারতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আইসিইউ বেড সুবিধা সহ অত্যাধুনিক অবকাঠামো সুবিধা দিয়ে সজ্জিত।
  • হাসপাতালে একটি ডেডিকেটেড বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট ইউনিট সহ ভারতের বৃহত্তম ডায়ালাইসিস ইউনিট রয়েছে।
  • হাসপাতালে ইনস্টল করা সর্বশেষ এবং অত্যন্ত উন্নত প্রযুক্তির মধ্যে রয়েছে দা ভিঞ্চি রোবোটিক সার্জারি সিস্টেম, পিইটি-এমআর, পিইটি-সিটি, কোবাল্ট ভিত্তিক এইচডিআর ব্র্যাকিথেরাপি, ব্রেন ল্যাব নেভিগেশন সিস্টেম, টিল্টিং এমআরআই, পোর্টেবল সিটি স্ক্যানার, 3 টেসলা এমআরআই, 128 স্লাইস। সিটি স্ক্যানার, ডিএসএ ল্যাব, এন্ডোসোনোগ্রাফি, হাইপারবারিক চেম্বার এবং ফাইব্রো স্ক্যান।

ব্লাডার ক্যান্সার কাকে বলে?

শরীরের কোষগুলি অনিয়ন্ত্রিত ভাবে এবং অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেলে ক্যান্সার হতে পারে। এই অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়া কোষগুলি লিম্ফ বা লসিকা এবং রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে আশেপাশের সুস্থ কোষ গুলিতেও প্রভাব বিস্তার করে এবং এইভাবে ক্যান্সার ধীরে ধীরে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে।

ব্লাডার ক্যান্সার বা মূত্রশয়ের ক্যান্সার হলো এমন একটি রোগ যাতে মূত্রশয়ের কোষগুলি উপরিউক্ত পদ্ধতিতে অস্বাভাবিক ও অনিয়ন্ত্রিত হারে বাড়তে থাকে এবং ক্রমশঃ তা টিউমারে পরিণত হয়। এই টিউমার থেকেই প্রাথমিক ভাবে ক্যান্সারের সূচনা হয়। ব্লাডার বা মূত্রাশয় হলো আমাদের শরীরের নিম্নাংশে শ্রোণী বা পেলভিক অঞ্চলে অবস্থিত একটি ফাঁপা অঙ্গ যা আমাদের রেচনকার্যে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এই ব্লাডার বা মূত্রশয়ে সাধারণতঃ মূত্র জমা হয় এবং এর পেশীগুলি আমাদের মূত্রত্যাগের পরিমাণ ও প্রয়োজন নিয়ন্ত্রণ করে।

ব্লাডার ক্যান্সারের কারণ

  • ব্লাডারের প্রদাহ
  • পরিবারে কারোর ব্লাডার ক্যান্সার থাকলে এর সম্ভাবনা বাড়ে
  • অত্যধিক ধূমপান
  • ক্ষতিকর রাসায়নিক বা অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ পদার্থের সংস্পর্শে আসা। বিশেষতঃ কাজের জায়গায় নিয়মিত ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসা
  • নির্দিষ্ট কিছু মধুমেহ অর্থাৎ ডায়াবেটিসের ওষুধ নিয়মিত গ্রহণ করার ফলেও ব্লাডার ক্যান্সার হতে পারে।
  • বয়স বাড়ার সাথে সাথে ব্লাডার ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

ব্লাডার ক্যান্সারের প্রকারভেদ

  • ইউরোথিলিয়াল কারসিনোমা: মূত্রশয়ের অভ্যন্তরে থাকা কোষপ্রাচীর বা কোষের গায়ে যদি ক্যান্সার দেখা দেয়, তাকে ইউরোথিলিয়াল কারসিনোমা বলা হয়।

 

  • স্কোয়ামাশ সেল কারসিনোমা: যদি মূত্রাশয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রদাহ এবং জ্বালা থাকে, সেক্ষেত্রে স্কোয়ামাশ সেল কারসিনোমা হতে পারে। দীর্ঘ দিন ধরে ক্যাথিটার ব্যবহার করার ফলে এই জাতীয় ক্যান্সার হতে পারে।

 

  • অ্যাডেনোকারসিনোমা: মূত্রাশয়ের শ্লেষ্মা উৎপাদনকারী গ্রন্থিগুলিতে সাধারণতঃ অ্যাডেনোকারসিনোমা দেখা দেয়।

ব্লাডার ক্যান্সারের উপসর্গ ও লক্ষণ

  • হিমাচুরিয়া অর্থাৎ প্রস্রাবের সাহে রক্তপাত হওয়া
  • বার বার প্রস্রাব হওয়া
  • মূত্র ত্যাগের সময় জ্বালা ভাব এবং যন্ত্রনা অনুভূত হওয়া
  • তলপেট ও কোমরের নীচের অংশে ব্যথা
  • ওজন কমে যাওয়া
  • পায়ের পাতা ফুলে ওঠা
  • ক্লান্তি এবং দুর্বলতা

ব্লাডার ক্যান্সারে রোগ নিরূপণ

ব্লাডার ক্যান্সার হয়েছে কিনা জানার জন্য চিকিৎসকেরা সাধারণতঃ যেসব পরীক্ষা নিরীক্ষা করবার পরামর্শ দিয়ে থাকেন, সেগুলি হলো:

  • ডিজিটাল রেক্টাল পরীক্ষা: এই পরীক্ষা করার জন্য চিকিৎসকেরা হাতে দস্তানা অর্থাৎ গ্লাভস পরে রেক্টাম বা পায়ুর মধ্য দিয়ে আঙুল প্রবেশ করান, এবং এইভাবে পায়ুপথে কোনো টিউমার আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখেন।
  • ইউরিনালিসিস: এই পরীক্ষার মাধ্যমে প্রস্রাবের সাথে রক্ত ও অন্যান্য কোনো পদার্থ নির্গত হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষন করে দেখা হয়।
  • ইউরিন টিউমার মার্কার: শরীরে ক্যান্সার আক্রান্ত কোষ থেকে কোনো পদার্থ নিঃসৃত হচ্ছে কিনা, তা এই পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়। এই পদ্ধতিতে মূত্রাশয়ে একটি ভিডিও ক্যামেরা যুক্ত সরু নলাকার যন্ত্র প্রবেশ করানো হয়। এরপর, ইনজেকশনের দ্বারা লবণ জল মূত্রাশয়ে প্রবেশ করানো হয়। যন্ত্রে অবস্থিত ভিডিও ক্যামেরার দ্বারা পরীক্ষাকারী চিকিৎসক মূত্রাশয়ের অভ্যন্তরের অবস্থা পরিষ্কার ভাবে দেখতে পান। এর ফলে সহজেই রোগ নিরূপণ করা সম্ভব হয়।
  • ইউরিন কালচার: এই পরীক্ষার মাধ্যমে মূত্রাশয়ে কোনো রোগজীবাণু সংক্রমণ হয়েছে কিনা জানা যায়।
  • ট্রান্স ইউরেথ্রাল রিসেকশান অফ ব্লাডার টিউমার (TURBT) বা অপারেশনের মাধ্যমে মূত্রাশয়ের টিউমার বাদ দেওয়া: এই অপারেশনের দ্বারা চিকিৎসক মূত্রাশয়ে অবস্থিত টিউমার এবং তার আশেপাশের কিছু পেশী ও কোষ কেটে বার করেন। এরপর ওই টিউমার ও পেশির নমুনা সংগ্ৰহ করে গবেষণাগারে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এবং এই পরীক্ষা থেকে টিউমারটি ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছে কিনা তা জানা যায়।
  • ইন্ট্রাভেনাস পাইলোগ্রাম (IVP): এই পদ্ধতিতে চিকিৎসক ইনজেকশনের মাধ্যমে ডাই বা একপ্রকার রঙ শরীরে প্রবেশ করান। এই রঙ শিরার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে মূত্রাশয় এবং মূত্রনালীতে থাকা টিউমার এবং অন্যান্য ক্যান্সার আক্রান্ত অংশগুলিকে চিহ্নিত করে।
  • রেট্রোগ্রেড পাইলোগ্রাম: এই পদ্ধতিতে চিকিৎসক আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে ক্যাথিটার (একধরনের সরু, নলাকার উপকরণ) মূত্রনালী ও মূত্রাশয়ের মাধ্যমে প্রবেশ করান। এরপর ওই নলাকার উপকরণ দ্বারা ডাই বা রঙ প্রবেশ করালে মূত্রাশয়ের প্রাচীর স্পষ্ট ভাবে বোঝা যায়। যদি মূত্রাশয়ে কোনো টিউমার থাকে, তা এই পদ্ধতিতে নিখুঁত ভাবে বোঝা যায়।

 

  • সিটি স্ক্যান

 

  • এম আর আই

 

  • আল্ট্রাসাউন্ড

 

  • বোন বা হাড়ের স্ক্যান

ব্লাডার ক্যান্সারের ধাপ গুলি কী কী?

  • স্টেজ 0: ক্যান্সার যখন শুধুমাত্র মূত্রাশয়ের কেন্দ্রে অবস্থান করে
  • স্টেজ ১: ক্যান্সার যখন মূত্রাশয় বা ব্লাডারের গায়ে ছড়িয়ে যায়
  • স্টেজ ২: ক্যান্সার যখন ব্লাডারের আসে পাশের সংযোগকারী টিস্যু এবং পেশির স্তরে ছড়িয়ে পড়ে
  • স্টেজ ৩: এই অবস্থায় ক্যান্সার ব্লাডারের চারিপাশে অবস্থিত ফ্যাটি টিস্যু তে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও এই ধাপে ক্যান্সার ব্লাডারের পার্শবর্তী অন্যান্য অঙ্গ যেমন প্রস্টেট (ছেলেদের ক্ষেত্রে), জরায়ু ও যোনি (মেয়েদের ক্ষেত্রে) ইত্যাদিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
  • স্টেজ ৪: এই অবস্থায় ক্যান্সার শ্রোণী ও পেটের প্রাচীর অব্দি ছড়িয়ে পড়ে। লসিকাগ্রন্থি এবং অন্যান্য পেশীগুলিও আক্রান্ত হ্য়। এছাড়াও এই অবস্থায় ক্যান্সার শরীরের কিছু দূরবর্তী অংশ যেমন হাড়, লিভার এবং ফুসফুসেও প্রভাব বিস্তার করতে পারে।

ব্লাডার ক্যান্সারের চিকিৎসা

ব্লাডার ক্যান্সার নিরাময়ের জন্য নিম্নলিখিত বিভিন্ন প্রকার চিকিৎসা ব্যবস্থা বর্তমানে উপলব্ধ রয়েছে:

সার্জারি

ব্লাডার ক্যান্সার সারিয়ে তুলতে যেসব সার্জারি অর্থাৎ অপারেশন করা যায়, সেগুলি হল:

  • ট্রান্স ইউরেথ্রাল রিসেকশান অফ ব্লাডার টিউমার (TURBT): এই পদ্ধতিতে রেট্রোস্কোপ নামক সরু, নলাকার যন্ত্র মূত্রনালীর মাধ্যমে মূত্রাশয়ে প্রবেশ করানো হয়। রেট্রোস্কোপ যন্ত্রটি আসলে একটি নলের মতন যার একদিকে একটি তার দিয়ে তৈরি ছিদ্র বা গোলাকার অংশ রয়েছে এবং এর মধ্য দিয়ে প্রস্রাব নির্গত হতে পারে। এই যন্ত্রের দ্বারা চিকিৎসক আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে অস্বাভাবিক কোষ এবং টিউমার কেটে বাদ দিতে পারেন।

 

  • সিসেক্টমি: এই সার্জারি বা অপারেশনের মাধ্যমে ব্লাডারের একটি অংশ বা সম্পূর্ন ব্লাডারটিই কেটে বাদ দেওয়া হতে পারে। ব্লাডারের একটি অংশ অপারেশন করলে তাকে পার্শিয়াল বা আংশিক সিসেক্টমি বলে, এবং সম্পূর্ন ব্লাডার বাদ দিলে তাকে র‍্যাডিকাল সিসেক্টমি বলা হয়।

কেমোথেরাপি

কেমোথেরাপি হল মূলতঃ একটি ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধ বা চিকিৎসা ব্যবস্থা, যা শরীরের অভ্যন্তরে অতি দ্রুতহারে বাড়তে থাকা ক্যান্সার সেল বা কোষগুলির বৃদ্ধি রোধ করতে সহায়তা করে এবং তাদের নির্মূল করে। এই ওষুধ সাধারণতঃ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে চলা ক্যান্সার সেল বা কোষগুলিকে ধ্বংস করার মাধ্যমে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

যদিও কেমোথেরাপির বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, তা সত্ত্বেও এটি ক্যান্সারের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সর্বাধিক প্রচলিত পদ্ধতি। এই চিকিৎসা পদ্ধতি রেডিয়েশন বা ক্যান্সারের অপারেশনের চাইতে আলাদা। কারণ, রেডিয়েশন থেরাপি বা অপারেশন ক্যান্সারে আক্রান্ত কোষগুলিকে তাদের নির্দিষ্ট স্থানে লক্ষ্য করে চিকিৎসা করে। অন্যদিকে, কেমোথেরাপির ওষুধ মেটাস্টেসিস পর্যায়ে থাকা অর্থাৎ দেহের অন্যান্য অংশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া ক্যান্সার সেলগুলিকেও ধংস করতে সক্ষম। (আরও বিস্তারিত জানতে পড়ুন: কেমোথেরাপি)

রেডিয়েশন থেরাপি

রেডিয়েশন থেরাপি হল এমন এক ধরণের ক্যান্সার চিকিৎসা যাতে ক্যান্সার সেলগুলি ধংস করার জন্য উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন রশ্মি প্রয়োগ করে টিউমারটি বা টিউমারগুলিকে সঙ্কুচিত কর হয়। এই উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন রশ্মি ক্যান্সার সেলের ডি এন এ ধ্বংস করে শরীরের ক্যান্সার নির্মূল করে। ক্ষতিগ্রস্ত ডি এন এ বিশিষ্ট ক্যান্সার সেলগুলি আর বাড়তে পারেনা, ফলে তা ক্রমশঃ ধ্বংস হয়ে যায়। এরপর , সেই ধ্বংসপ্রাপ্ত কোষগুলি দেহের স্বাভাবিক নিয়মেই দেহ থেকে অপসারিত হয়ে যায়, এবং এইভাবে ক্যান্সার নির্মূল হয়। (আরও বিস্তারিত জানতে পড়ুন: রেডিয়েশন থেরাপি)

ব্র্যাকিথেরাপি

বর্যাকইথেরাপি হলো এক ধরণের ইন্টারনাল বীম রেডিয়েশন থেরাপি অর্থাৎ উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন রেডিয়েশন ব্যবহার করে ক্যান্সারের চিকিৎসা। এই পদ্ধতিতে শক্তিশালী রেডিয়েশন বা বিকিরণ ক্যান্সার আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করে ক্যান্সার আক্রান্ত কোষগুলিকে ধ্বংস করা হয় এবং এই ভাবে, টিউমারটি সঙ্কুচিত করার প্রচেষ্টা করা হয়। এই উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন রেডিয়েশন ক্যান্সার কোষগুকির ডি এন এ ধ্বংস করে তাদের নির্মূল করে। ডি এন এ ক্ষতিগ্রস্ত হবার ফলে অস্বাভাবিক কোষগুলি আর বিভাজিত হতে পারেনা, ফলে তাদের আর সংখ্যা বৃদ্ধিও হয়না। এর ফলে ক্রমশঃকোষগুলির মৃত্যু হয় , এবং শরীরের স্বাভাবিক নিয়মেই তারা ক্রমশঃ শরীর থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।

ইমিউনোথেরাপি

ইমিউনথেরাপি, বা বায়োলজিক্যাল থেরাপি হল এক উন্নত ধরণের ক্যান্সারের চিকিৎসা। এই পদ্ধতিতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটিয়ে শরীরকে ক্যান্সারের সাথে লড়ার উপযোগী করে তোলা হয়, যাতে তা নিজেই ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে। ইমিউনথেরাপিতে দেহে তৈরী হওয়া নিজস্ব উপাদান অথবা গবেষণাগারে তৈরী উপাদান ব্যবহার করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়। (আরও বিস্তারিত জানতে পড়ুন: ইমিউনোথেরাপি)

সাহায্য প্রয়োজন?

আপনি কি একজন আন্তর্জাতিক রোগী ভারতে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুঁজছেন?

ভারতের সবচেয়ে বিশ্বস্ত চিকিৎসা-সহায়তা কোম্পানি – Ginger Healthcare থেকে ভারতে চিকিৎসার জন্য বিনামূল্যে গাইডেন্স ও সহায়তা পান।

যোগাযোগ করুন

একজন রোগী-সহায়কের সাথে কথা বলুন | চিকিৎসার মতামত ও অনুমান পান | অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করুন !

যোগাযোগ করুন

যোগাযোগ করুন

ধন্যবাদ!

যোগাযোগ করার জন্য ধন্যবাদ! আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার সাথে যোগাযোগ করব।

দ্রুত উত্তরের জন্য, আপনি ওয়েবসাইটের নীচে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট বোতামটি ব্যবহার করে আমাদের সাথে চ্যাট করতে পারেন।