লিভার সিরোসিস চিকিত্সার জন্য ভারতের সেরা চিকিৎসকগণ
- লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন এবং এইচপিবি সার্জন, চেন্নাই, ভারত
- 15 বছরের বেশি অভিজ্ঞতা
প্রোফাইলের সারাংশ
- ডাঃ সেলভাকুমার নাগানাথন প্রায় 15 বছরের অভিজ্ঞতা সহ ভারতের সেরা লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জনদের একজন।
- তিনি হেপাটাইটিস, অ্যাসাইটিস, গলস্টোন এবং লিভারের রোগ যেমন সিরোসিস, ক্যান্সার ইত্যাদি পরিচালনায় একজন বিশেষজ্ঞ। তিনি 300 দাতা এবং 500 গ্রহীতা হেপাটেক্টমি, ক্যাডেভার ট্রান্সপ্লান্টেশন, ক্যাডেভার লিভার পুনরুদ্ধার এবং জীবিত দাতা সহ 2000 টিরও বেশি লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট প্রক্রিয়া পরিচালনা করেছেন।
- ডাঃ নাগানাথন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সম্মেলনে নিয়মিত অংশগ্রহণের সাথে সাথে ক্ষেত্রের সর্বশেষ কৌশলগুলির সাথে নিজেকে আপডেট রাখেন।
- জেনারেল সার্জন এবং সার্জিকাল গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট, চেন্নাই, ভারত
- 27 বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা
প্রোফাইলের সারাংশ
- ডাঃ রঘুনাথ কে জে সাধারণ অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে 27 বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা সহ একটি সুপরিচিত নাম।
- গল ব্লাডার স্টোন চিকিৎসা, হার্নিয়া, জিআই ক্যান্সার সার্জারি, ল্যাপারোস্কোপিক স্লিভ রিসেকশন, এন্ডোস্কোপিক সার্জারি ইত্যাদিতে ডাঃ রঘুনাথের বিশেষ আগ্রহ রয়েছে।
- তিনি কানাডা এবং ফ্রান্স থেকে উন্নত ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারির প্রশিক্ষণে গিয়েছিলেন।
- কোলোরেক্টাল সার্জন এবং রোবোটিক সার্জন, চেন্নাই, ভারত
- 26 বছরের বেশি অভিজ্ঞতা
প্রোফাইলের সারাংশ
- ডাঃ ভেঙ্কটেশ মুনিকৃষ্ণান হলেন চেন্নাইয়ের অন্যতম সেরা গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট এবং কলোরেক্টাল সার্জন এমন ব্যাধিগুলি যার অস্ত্রোপচারের চিকিত্সার প্রয়োজন আছে সেইগুলি পরিচালনা করার 21 বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
- ডাঃ মুনিকৃষ্ণান সার্জিক্যাল অনকোলজি, এন্ডোস্কোপি, গ্যাস্ট্রাইটিস চিকিৎসা ইত্যাদিতে বিশেষজ্ঞ।
- তিনি গবেষণায়ও সক্রিয় ছিলেন এবং সিটি কোলোনোগ্রাফির উপর তার একটি গবেষণা ব্র্যাকো, মিলান, ইতালি থেকে একটি অনুদান পেয়েছিল।
- জিআই সার্জন এবং লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন, গুরুগ্রাম, ভারত
- 20 বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা
প্রোফাইলের সারাংশ
- ডাঃ অমিত নাথ রাস্তোগি লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারির ক্ষেত্রে অগ্রগামী। দেশের সর্ববৃহৎ লিভার ট্রান্সপ্লান্ট প্রোগ্রামের অংশ হওয়ার সময় তিনি স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারিতে তার ফেলোশিপ সম্পন্ন করেন।
- তদুপরি, তিনি ফ্রান্সের IRCAD-স্ট্রাসবার্গ থেকে রোবোটিক লিভার সার্জারির প্রশিক্ষণ এবং গ্রোসেটো থেকে উন্নত রোবোটিক এইচপিবি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
- লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন, গুরুগ্রাম, ভারত
- 10 বছরের বেশি অভিজ্ঞতা
প্রোফাইলের সারাংশ
- ডাঃ প্রশান্ত বিলাস ভাঙ্গুই একজন উচ্চ প্রশিক্ষিত লিভার ট্রান্সপ্লান্ট বিশেষজ্ঞ যিনি সার্জিক্যাল গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি এবং লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশনে তার প্রশিক্ষণ পেয়েছেন।
- তিনি হেপাটো-বিলিয়ারি-অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারে একটি ইউরোপীয় ইন্টার-ইউনিভার্সিটি ডিপ্লোমাও ধারণ করেছেন।
- ডাঃ প্রশান্ত আরও কিছু ক্ষেত্রে কাজ করতে আগ্রহী যার মধ্যে রয়েছে হেপাটোসেলুলার কার্সিনোমা, কোলোরেক্টাল লিভার মেটাস্টেসস এবং জীবন্ত দাতা লিভার প্রতিস্থাপন। এর পাশাপাশি তিনি এসব বিষয়ে বেশ কিছু জার্নালও প্রকাশ করেছেন।
- গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট, গুরুগ্রাম, ভারত
- 7 বছরের বেশি অভিজ্ঞতা
প্রোফাইলের সারাংশ
- ডাঃ অভিনন্দন মিশ্রা গুরুগ্রামের একজন তরুণ গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি ডাক্তার যিনি প্রদাহজনক অন্ত্রের রোগের চিকিৎসায় বিশেষভাবে আগ্রহী।
- ডাঃ অভিনন্দন মিশ্রা এন্ডোস্কোপিক রেট্রোগ্রেড কোল্যাঞ্জিওপ্যানক্রিটোগ্রাফি, অ্যাসাইটস ট্যাপ, এন্ডোস্কোপি, পেরোরাল এন্ডোস্কোপিক মায়োটমি, ক্যাপসুল এন্ডোস্কোপি, ইসোফেজিয়াল ম্যানোমেট্রি, ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স কোল্যাঞ্জিওপ্যানক্রিটোগ্রাফি ইত্যাদি অফার করেন।
- গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট, গুরুগ্রাম, ভারত
- 18 বছরের বেশি অভিজ্ঞতা
প্রোফাইলের সারাংশ
- ডাঃ অতুল শর্মা গুরুগ্রামের একজন বিখ্যাত গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি অনুশীলনকারী এবং বিশেষ করে থার্ড স্পেস এন্ডোস্কোপি এবং পার ওরাল এন্ডোস্কোপিক মায়োটমি (POEM) এর প্রতি আগ্রহী।
- অ্যাডভান্সড ইন্টারভেনশনাল জিআই এন্ডোস্কোপিতে প্রশিক্ষণের সময় তিনি ম্যানোমেট্রি, লুমিনাল গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি এবং ইন্টারভেনশনাল গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজির উপর বেশ কিছু গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন।
- গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট, গুরুগ্রাম, ভারত
- 15 বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা
প্রোফাইলের সারাংশ
- ডাঃ কপিল জামওয়াল হলেন গুরুগ্রামের একজন বিখ্যাত জিআই অনুশীলনকারী যার পরিপাক এবং যকৃতের রোগের ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে।
- বিশেষজ্ঞ হেপাটাইটিস বি, জন্ডিস, হেপাটাইটিস সি, ইনফ্ল্যামেটরি বাওয়েল সিনড্রোম, অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস, লিভার ডিজিজ এবং ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের জন্য চিকিৎসা প্রদান করেন।
- গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট, গুরুগ্রাম, ভারত
- 18 বছরের বেশি অভিজ্ঞতা
প্রোফাইলের সারাংশ
- ডাঃ রাজেশ পাধান গুরুগ্রামের একজন বিখ্যাত গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট এবং এই ক্ষেত্রে 18 বছরেরও বেশি সময় ধরে বিস্তৃত অভিজ্ঞতা রয়েছে।
- তিনি বিভিন্ন এন্ডোস্কোপি পদ্ধতি যেমন কোলনোস্কোপি, এন্ডোস্কোপিক রেট্রোগ্রেড কোলাঞ্জিওপ্যানক্রিটোগ্রাফি, এন্ডোস্কোপিক আল্ট্রাসাউন্ড, আপার জিআই এন্ডোস্কোপি ইত্যাদি পরিচালনায় দক্ষ।
- গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট, হেপাটোলজিস্ট, গুরুগ্রাম, ভারত
- 25 বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা
প্রোফাইলের সারাংশ
- ডাঃ সাক্ষী কারকরা গুরুগ্রামের সেরা পেডিয়াট্রিক গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্টদের একজন।
- কোলোনোস্কোপি, আপার জিআই এন্ডোসকপি, ক্যাপসুল এন্ডোস্কোপি, এন্টারোস্কোপি, এন্ডোস্কোপিক ভেরিসিয়াল লাইগেশন, ফরেন বডি রিমুভাল, স্ট্রিকচার এবং অ্যাকলেসিয়া প্রসারণ, পলিপেক্টমি, অ্যানাল ম্যানোমেট্রি, লিভার বায়োপসি এবং কোলোনিক ম্যানোমেট্রিতে তার বিশেষ আগ্রহ/ দক্ষতা রয়েছে।
লিভার সিরোসিস চিকিত্সার জন্য ভারতের সেরা হাসপাতালগুলো
সিরোসিস
সিরোসিস বা লিভার সিরোসিস এমন একটি রোগ যাতে লিভারে ক্ষত সৃষ্টি হয়। এটি মূলতঃ ফাইব্রোসিসের অন্তিম পর্যায় বা লিভারের তৈরী হওয়া একধরনের ক্ষত বিশেষ। এই রোগ অতিরিক্ত মদ্যপান বা হেপাটাইটিসের কারণে হতে পারে। যখনই আপনার যকৃৎ বা লিভার অন্য কোনো রোগ বা মদ্যপানের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন তা নিজে থেকেই সেরে উঠবার চেষ্টা করে। এই প্রক্রিয়ার ফলে ক্ষত কোষ (স্কার টিস্যু) তৈরি হয়। শরীরে সিরোসিসের মাত্রা বাড়ার সাথে সাথে স্কার টিস্যুর পরিমাণও বৃদ্ধি পায়, যার ফলে যকৃতের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। এটি অবস্থাকে ডিকম্পোজড সিরোসিস বলা হয়। অ্যাডভান্সড সিরোসিস মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হতে পারে।
সিরোসিসের কারন
নানাধরণের রোগ লিভারের ক্ষতি করার মাধ্যমে সিরোসিস সৃষ্টি করতে পারে। এর বিভিন্ন কারণগুলি হল–
- হিমোক্রোমাটোসিস বা শরীরে লোহার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া
- আলফা-১ অ্যান্টিট্রিপসিনের মাত্রা হ্রাস পাওয়া
- জন্মগত মধুমেহ-জনিত রোগ যেমন গ্লাইকোজেন স্টোরেজ ডিজিজ বা গ্যালাক্টোসিমিয়া
- নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার রোগের কারণে লিভারে চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া
- সিস্টিক ফাইব্রোসিস
- বিলিয়ারি আর্টেসিয়া, যাতে পিত্তনালীর অসম বা অস্বাভাবিক গঠন হয়
- ব্রুসেলোসিস বা সিফিলিস জাতীয় সংক্রমণ
- প্রাইমারি বিলিয়ারি সিরোসিস অর্থাৎ পিত্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া
- প্রাইমারি স্ক্লেরোসিং কোল্যানজাইটিস, যাতে পিত্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং শক্ত হয়ে যায়
- অটোইমিউন হেপাটাইটিস, যাতে শরীরের নিজস্ব প্রতিরক্ষাব্যবস্থাই লিভারের অসুখ সৃষ্টি করে
- আইসোনিয়াজিড বা মেথোট্রেকসেট জাতীয় ওষুধও সিরোসিস সৃষ্টি করতে পারে।
সিরোসিসের লক্ষণ
লিভারের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি না হওয়া পর্যন্ত এই রোগটির লক্ষণ সাধারণত প্রকাশ পায়না। সিরোসিসের প্রধান কয়েকটি লক্ষণ হল-
- ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া
- পা, গোড়ালি ও পায়ের পাতা ফুলে যাওয়া, যা ইডিমা নামে পরিচিত
- সহজেই রক্তপাত হওয়া বা ক্ষত সৃষ্টি হওয়া
- বমিভাব
- ক্লান্তি
- চুলকানি
- হাতের পাতা লাল হয়ে যাওয়া
- ক্ষিদে কমে যাওয়া
- ওজন হ্রাস পাওয়া
- মেয়েদের ক্ষেত্রে ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া ( মেনোপজের সাথে সম্পর্কিত নয়)
ছেলেদের ক্ষেত্রে অন্ডকোষ শুকিয়ে/ ছোট হয়ে যাওয়া (টেস্টিকুলার অ্যাট্রফি) - অ্যাসাইটিস বা পেটে জল জমে যাওয়া
- ঝিমুনিভাব, বিভ্রান্তি এবং কথা জড়িয়ে যাওয়া
রোগনিরূপণ (ডায়াগনোসিস)
সিরোসিসের প্রাথমিক পর্যায়ে রোগী এর কোনো লক্ষণ বুঝতে পারেনা। সাধারণতঃ, ডাক্তারেরা কিছু রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে অথবা সার্বিক পরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগ নিরূপণ করে থাকেন। মূলতঃ ইমেজিং বা ল্যাবরেটরি টেস্টের মাধ্যমে এই কাজ করা হয়।
- ইমেজিং বা ছবির মাধ্যমে পরীক্ষা: ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইলাস্টোগ্রাফি (MRE) পরীক্ষার মাধ্যমে এই ছবি পাওয়া যায়। এই পরীক্ষার জন্য শরীরে কোনোরকম কাটাছেঁড়া করতে হয়না। এই পদ্ধতির মাধ্যমে লিভার শক্ত হয়েছে কিনা দেখা হয়। এছাড়াও ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং (MRI), কমপিউটেড টোপোগ্রাফি (CT) এবং আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষার মাধ্যমেও এই কাজ করা হয়।
- ল্যাবোরেটরি পরীক্ষা: আপনার চিকিৎসক আপনাকে প্রাথমিকভাবে কিছু রক্ত পরীক্ষা করতে দিতে পারেন, যা থেকে লিভারে কোনো জটিলতা আছে কিনা, যেমন বিলিরুবিনের মাত্রা বৃদ্ধি ইত্যাদি বোঝা যায়। এজাতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে রক্তে নির্দিষ্ট উৎসেচকের উপস্থিতি জানা যায়, যেগুলি লিভারের ক্ষত বা অসুস্থতা নির্দেশ করে। চিকিৎসক রক্তে ক্রিয়াটিনিনের পরিমাণও পরীক্ষা করতে দিতে পারেন, যা থেকে কিডনির কার্যক্ষমতা বোঝা যায়। এছাড়াও শরীরে হেপাটাইটিস ভাইরাসের উপস্থিতিও পরীক্ষা করতে হতে পারে।
লিভারের কর্মক্ষমতা ও অবস্থা বোঝার জন্য আপনার চিকিৎসক ইন্টারন্যাশনাল নরমালাইজড রেশিও (INR) নামে একটি পরীক্ষা করার পরামর্শ দিতে পারেন, যা থেকে রক্ততঞ্চনের মাত্রা নির্ণয় করা যায়। এই পরীক্ষা চিকিৎসককে সিরোসিসের কারণ নির্ধারণ করতে সহায়তা করে। এমনকি সিরোসিসের বর্তমান অবস্থাও এর মাধ্যমে জানা যায়।
- বায়োপসি: যদি আপনার সিরোসিস থাকে, তবে আপনার চিকিৎসক অবশ্যই আপনাকে বায়োপসি করার পরামর্শ দেবেন। যদিও রোগনির্ণয় বা ডায়াগনোসিসের জন্য এই পরীক্ষা অপরিহার্য নয়, তবে রোগের কারণ, বর্তমান অবস্থা ও লিভারের ক্ষতির পরিমাণ বোঝার জন্য আপনার চিকিৎসক পরামর্শ দিতে পারেন, এবং সেই অনুযায়ী তিনি চিকিৎসার পদ্ধতি নির্ধারণ করবেন। এর সাথে সাথেই তিনি রোগের লক্ষণ ও গতিপ্রকৃতি বোঝার জন্য কিছু নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষারও পরামর্শ দিতে পারেন। এর থেকে অন্যান্য জটিলতা, যেমন লিভার ক্যানসার বা ইসোফেগাল ভ্যারিসেস (খাদ্যনালীর অসুখ) ইত্যাদিও পর্যবেক্ষন করা সম্ভব। বর্তমানে, নন-ইনভেসিভ টেস্টস বা শরীরে কোনোরকম কাটাছেঁড়া করতে হয়না এমন পরীক্ষা-নিরীক্ষাই রোগ পর্যবেক্ষণের জন্য বহুল প্রচলিত।
চিকিৎসা পদ্ধতি
মদ্যপান-জনিত সমস্যার চিকিৎসা
ওজন কমানো
ওষুধপত্র
এই রোগের ক্ষেত্রে ওষুধ মূলতঃ হেপাটাইটিস কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এই ওষুধগুলি প্রধানতঃ লিভারে বাড়তি ক্ষতির পরিমাণ কমায়, যা হেপাটাইটিস বি অথবা সি ভাইরাসের নির্দিষ্ট চিকিৎসার মাধ্যমে করা সম্ভব।
অন্যান্য সমস্যার জন্য ওষুধ
উপরিউক্ত সমস্যা ছাড়াও ওষুধের মাধ্যমে সিরোসিসের বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণ করে এই রোগের চিকিৎসা সম্ভব।